________________
১২২
বর্ধমান মহাবীর শালিত, তােমার সেই পুণ্যকাজের ফলে তুমি ইহজন্মে ধনী শ্রেষ্ঠ ঘরে জন্ম গ্রহণ করেছ ও তােমার পূর্বজন্মের মা দুধ দই খাওয়াতে চেয়েছিল বলে গােয়ালিনী হয়ে। : তা যখন জানতে পারলেন যে ধন্য ও শালিভদ্র তাঁর কাছে ভিক্ষা নিতে গিয়ে ভিক্ষা না পেয়ে ফিরে এসেছেন তখন চোখের জল আর রাখতে পারলেন না। তিনি তখন তাদের দেখতে গেলেন বিপুলাচল পাহাড়ে যেখানে তার অবস্থান করছিল।
চাতুর্মাস্য শেষ হতে রাজগৃহ হতে বর্ধমান এলেন চম্পায়।
চম্পায় তখন রাজত্ব করেন রাজা দত্ত। বর্ধমানের প্রবচনে মুগ্ধ হয়ে এই দত্তের পুত্র মহাচন্দ্ৰ শ্ৰমণ ধর্ম গ্রহণ করলেন।
বর্ধমান যখন চম্পায় অবস্থান করছিলেন তখন সিন্ধু সৌৰীয়ের রা উদ্ৰায়ণ যিনি নিগ্রন্থ শ্রাবক ছিলেন একদিন পৌষধশালায় বসে বসে চিন্তা করছিলেন : সেই গ্রাম, সেই জনপদ ধন্য যেখানে শ্রমশ ভগবান বর্ধমান বিচরণ করছেন, তারাই ভাগ্যশালী যারা প্রত্যহ তাঁর সাক্ষাৎ লাভ ও বন্দনা করে ধন্য হচ্ছে। যদি তিনি আমার ওপর অনুগ্রহ করে বিজয় পত্তনে এসে মৃগন উদ্যানে অবস্থান করেন তবে তাঁর পরিচর্যা করে আমি ধন্য হই।
চম্পা নগরীর পূর্ণভদ্র চৈত্যে বসে বর্ধমান উল্লায়ণের সেই মনােভাৰ অৰগত হলেন। তার ওপর অনুগ্রহ করে চম্পা হতে বিততয় পত্তনের দিকে প্রস্থান করলেন। চম্পা হতে বিতায় পত্তনের দুরত্ব ছিল কম করেও ৫০০ কোশের ওপর। তাছাড়া পথের মধ্যে ছিল রাজস্থানের বিস্তৃত মরুভূমি। কিন্তু পথের দূরত্ব, যাত্রার কষ্ট বর্ধমানকে কৰে নিয়ত করেছে। বর্ধমান তাই সেই কঠিন পথ অতিক্রম করে একদিন ৰিতভয় পত্তনে এসে উপস্থিত হলেন ও উদ্ৰায়ণকে এম দীক্ষায় দীক্ষিত কখলেন।