________________
তীর্থংকর এই ছাড়লাম বলে গন্য সেই মুহুর্তেই সংসার পরিত্যাগ করে চলে গেলেন।
ধন্য সংসার পরিত্যাগ করেছেন শুনে শালিভদ্রও তখন সংসার পরিত্যাগ করে বেরিয়ে এলেন। তারপর তারা দু'জনে বর্ধমানের কাছে গিয়ে শ্রমণ ধর্ম গ্রহণ করলেন। | শালিভদ্রের সেই এক জীবন আর এই এক জীবন। ভােগের চরম সীমা হতে চলে এলেন ত্যাগের চরম সীমায়। তপস্যায় যে শরীর ফুলের মত কোমল ছিল তাকে শুরু করলেন।
বহুদিন পরের কথা। গ্রামাগ্রাম বিচরণ করতে করতে সেবারও বর্ধমান এসেছেন রাজগৃহে।
আট দিনের উপবাসের পর পারণ করবেন বলে ভিক্ষাচর্যায় বাবার মুখে বর্ধমানের আদেশ নিতে এসেছেন শালিভদ্র। বর্ধমান বললেন, শালিত, আজ মা’র কাছ হতে ভিক্ষা নিয়ে এস।
শালিভদ্র মার কাছে ভিক্ষা নিতে গেলেন। কিন্তু বন্য ও শালিভদ্রের শরীরের এত পরিবর্তন হয়েছিল যে ভদ্রা তাদের চিনতেই পারলেন । তাছাড়া অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় তাদের তিক্ষাও দিলেন না।
সেই সময় সেই পথ দিয়ে এক গােয়ালিনী দই নিয়ে বাজারে চলেছিল। শালিভদ্রকে দেখে তার মনে বাৎসল্য ভাবের উদয় হল। সে তখন মুনিদের বন্দনা করে তাদের দুই ভিক্ষা দিল।
শালিভদ্র দই নিয়ে বর্ধমানের কাছে ফিরে এলেন। বললেন, ভগব, আমি মার কাছে ভিক্ষা পেলাম না।
বর্ধমান বললেন, শালিত, তুমি তােমার মার কাছেই তিন পেয়েছ। তবে ইহজন্মের মা নয়, পূর্বজন্মের মা। সে জীবনে দরিদ্রের ঘরে তােমার জন্ম হয়। তােমার মায়ের এত সঙ্গতি ছিল
যে তােমায় মােজ দুধ দই খাওয়ায়। একবার তুমি পায়েস খেতে চাওয়ায় চেয়ে-চিন্তে তােমার মা তােমার জন্য একটুখানি দুধ নিয়ে আসে। পায়েস মায়া করে। তুমি সেই পায়েস নিজে না খেয়ে নে সময় সাধুরা হঠাৎ এসে উপস্থিত হলে তাঁদের তিন দিয়ে দাও।