________________
১১১
তীকর মানী চেতনার আগ্রহাতিশয্যে শ্রেণিক যােলটি কম্বলের একটি অঙ্গ-কম্বল চেয়ে পাঠালেন তার কাছ হতে, অর্থের বিনিময়ে। কৰাৰ এল অর্থের কোনাে প্রশ্নই নেই কিন্তু সেই রত্ন-কলই আর ঘরে নেই। তাঁর পুত্রবধু এক দিন মাত্র ব্যবহার করে তা ফেলে দিয়েছে।
শুনে শ্রেণিক আবারও ভাবলেন, শালিভদ্র এত কী ধনী। তিনি এবারে শালিকে দেখতে চাইলেন। তাঁকে রাজসভায় ডেকে পাঠালেন।
ভদ্রা বলে পাঠালেন, সম্ভব নয়। যদি শালিকে দেখতে হয় তবে শ্রেণিককেই আসতে হবে তাঁর প্রাসাদে। তাঁর অভ্যর্থনার কোনাে ত্রুটি হবে না।
তাই শ্রেণিকই গেলেন তার ঘরে। শালিভদ্ৰেয় সাতমহলা বাড়ী। শালিভদ্র থাকেন সপ্তম মহলে।
সেই সপ্তম মহল হতে তিনি কখনাে নীচে নামেন নি, চন্দ্র সূর্যের মুখ দেখেন নি। ব্যবসা-বাণিজ্যের সমস্ত কাজই দেখতেন তাঁর মা
| শ্রেণিক শালিতদ্রের প্রাসাদ দেখে আশ্চর্যান্বিত হলেন। প্রথম মহল হতে দ্বিতীয় মহলে, দ্বিতীয় মহল হতে তৃতীয় মহলে এলেন। তারপর বললেন, আমি বুড়ো মানুষ, আর পারি না; শালিভদ্রকে এখানে ডাক।
তা তখন কি করেন। শালিভদ্রকে ডাকতে গেলেন। বললেন, রাজা এসেছেন, নীচে চল।
শালিভদ্র বললেন, তা আমি কি করব। তুমি ত সমস্ত কেনাকাটি কর। তুমিই তাকে কিনে নাও। | শুনে তা হাসলেন। বললেন, শ্রেণিক কেন এ নয় । তিনি রাজা, দেশের অধিপতি, সকলের স্বামী।
বামী। আমারও। হাঁ হাঁ। তাঁর কথা অমান্য করতে নেই। পালিত নীচে নেমে এলেন।