________________
তীর্যকর
১১৭ মুদ্রা বৃদ্ধিতে, চায়কোটি স্বর্ণমুদ্রা সম্পত্তিতে ও এত্যেক দেশ হাজার করে চারটি গাের্বজ ছিল।
এই আনন্দ যখন বর্ধমানের আসার খবর পেলেন তখন তিনি শ্রদ্ধাঙ্গুত মন নিয়ে বাণিজ্যগ্রামের মধ্য দিয়ে পদব্রজে দুইপলাশ চৈত্যে যেখানে বর্ধমান অবস্থান করছিলেন সেখানে এসে উপস্থিত হলেন ও বর্ধমানের মুখে নিগ্রন্থ প্রবচন শুনলেন।
প্রবচন শুনে তার মনে শ্রদ্ধায় উদয় হল। প্রচন অন্তে তাই তিনি উঠে দাড়ালেন ও বর্ধমানকে তিনবার প্রদক্ষিণ করে বললেন, ভগৰ নিগ্রন্থ প্রবচনে আমার শ্রদ্ধা হয়েছে। নিগ্রন্থ প্রবচনে আমি বিশ্বাস করি। নিগ্রন্থ প্রবচন আমার রুচিকর। শ্রমণ ধর্ম গ্রহণ করি সে যােগ্যতা আমার নেই তাই আমাকে শ্রাবকের পাঁচটি অণুব্রত ও সাতটি শিক্ষা ও গুণব্রত প্রদান করুন।
বর্ধমান বললেন, আনন্দ, তােমার যেমন অভিরুচি। তুমি শ্রাৰক ব্ৰত গ্রহণ কর।
শ্ৰাৰক ব্রতের পঞ্চম অণুব্রত পরিগ্রহ-পরিমাণে সম্পত্তির সীমা নির্ণয় করে নিতে হয়; কি পরিমাণ সম্পত্তি আমি রাখব, কি পরিমাণ অর্থ। | পরিগ্রহ-পরিমাণের ধর্মীয় উদ্দেশ্য ভােগােপভােগর পরিমাণ সীমিত করা যাতে সে অহিংসা ব্ৰতকে পরিশুদ্ধ করতে পারে। কিন্তু আনন্দের ক্ষেত্রে এর পরিণাম হল সুদূরপ্রসারী; শুধু ধর্মজীবনেই নয়, সমাজজীবনেও।
আনন্দ ব্যবসায়ী ছিলেন। তাই এই ব্রত গ্রহণের ফলে সেই নির্দিষ্ট পরিমাণের অতিরিক্ত যে অর্থ অর্জিত হত তা ব্যয়িত হতে লাগল জনকল্যাণে। কারণ তা রাখৰায় অধিকার তাঁর আয় ছিল না। | বর্ধমান ধর্মপ্রচারের সঙ্গে সঙ্গে চেয়ে ছিলেন সমাজের সংস্কারও। তাঁর লক্ষ্য ছিল সর্বোদ। সর্বোদয়ের এ সাম্য। সব মানুষ সমান বলেই হবে না, দেখতে হবে সেখানে যেন আর্থিক বৈষম্যও না