________________
বর্ধমান মহাবীর
জয়ন্তী এ ধরনের আরও বহু প্রশ্ন করলেন, বর্ধমানও তার সদুত্তর
দিলেন ।
প্রশ্ন, দুই-ই কি করে ভালো হয় ? জেগে থাকাও ভালো, ঘুমিয়ে থাকাও ভালো, দুর্বলতাও ভালো, সরলতাও ভালো, আলস্যও ভালো, উদ্যমও ভালো ।
এইখানে বর্ধমানের জীবন দর্শন। সত্য একরূপী নয়, বহুরূপী । বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ দিয়ে যাচাই করলেই তবে সত্যের সত্যিকার রূপ ধরা পড়ে ।
প্রশ্ন তাই কোন অপেক্ষায় সত্য ।
একই জায়গায় যখন গাছকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি তখন গাছ অচল কিন্তু যখন দেখি তার শাখাপ্রশাখা পত্রপল্লবের বিস্তার, মাটির নীচে শেকড়ের তলৰীথি তখন গাছ সচল ।
১১৬
গাছ সচল না অচল ?
দুই-ই ৷ কোন একটি অপেক্ষায় ।
এই বর্ধমানের অনেকাস্ত দর্শন ।
অনেকান্ত দর্শনই জৈন দর্শন, জৈন দর্শনই অনেকাস্ত দর্শন ।
বিভিন্ন ধর্ম, মত ও মতবাদের মধ্যে সাম্য প্রতিষ্ঠার এক অভিনৰ সূত্র। বর্ধমানের যুগান্তকারী অবদান। বিংশ শতাব্দীর সর্বধর্ম সমন্বয়ের প্রথম উদ্ঘোষণা ।
বস হতে বর্ধমান গেলেন উত্তর কোশলের দিকে। তারপর অনেক গ্রাম ও নগর বিচরণ করে এলেন শ্রাবস্তী। শাস্তীতে কোষ্ঠক চৈত্যে তিনি অবস্থান করলেন। সেখানে তাঁর উপদেশে আকৃষ্ট হয়ে অনেকে তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করল ।
কোশল হতে তিনি আবার ফিরে এলেন বিদেহে। বিদেহের ৰাণিজ্যগ্রামে তিনি বর্ষার চার মাস ব্যতীত করবেন ।
এই বাণিজ্যগ্রামের বহির্ভাগে কোল্লাগ সন্নিবেশে থাকেন গৃহপতি আনন্দ খাঁর চার কোটি স্বর্ণমুদ্রা মাটিতে প্রোধিত থাকত, চার কোটি