________________
১১
বর্ধমান মহাবীর ' অবশ্য উদয়ন তখন হােট ছিলেন। তাই তাঁকে সিংহাসনে বসিয়ে তাঁর মা মৃগাৰতী তখন রাজ্য পরিচালনা করছিলেন।
মৃগাবতী ছিলেন বৈশালী নায়ক চেটকের মেয়ে, সাংসারিক সম্পর্কে বর্ধমানের মামাতো বােন। তাই তাঁর আসর খবর পেয়ে উদয়নকে সঙ্গে নিয়ে তিনি তাকে বন্দনা করতে এলেন।
সঙ্গে এলেন আরও এমপােপাসিকা জয়ন্তী। জয়ন্তী মৃগাৰতীয় ননদ, উদয়নের পিসী, স্বর্গীয় রাজা সহস্রানীকের মেয়ে, শতানীকের বােন।
জয়ন্তীও ছিলেন শ্রমণ ধর্মের উপাসিকা ও ভক্তিমতী। তার গৃহের দরজা সাধু ও শ্রমণদের জন্য ছিল সর্বদাই উন্মুক্ত।
বর্ধমান তাদের ধর্মোপদেশ দিলেন। বললেন আত্মজয়ের কথা। বললেন, নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করে, বাইরের শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধ করে কী লা। যে নিজের ওপর জয়লাভ করে সেই যথার্থ সংগ্রাম-বিজয়ী, সেই যথার্থ সুখী।
আরও বললেন, ক্ষমান হও, লােভাদি হতে নিবৃত্ত। জিতেন্দ্রিয় হও ও অনাসক্ত। সদাচারী হও ও ধর্মনিষ্ঠ।
সংসার প্রবাহে তাসমান জীবের জন্য ধর্মই একমাত্র দ্বীপ, আশ্রয় ও শরণ।
বর্ধমানের উপদেশ সবাইকে প্রভাবিত করেছে। বিশেষ করে জয়ন্তীকে। তাই যখন সকলে চলে গেল তখনাে তিনি বসে রইলেন। নানাৰিষয়ে প্রশ্ন করতে লাগলেন বর্ধমানকে। শেষে এক সময়ে বললেন, গ, ঘুমিয়ে থাকা ভালাে না জেগে থাকা।
বর্ধমান প্রত্যুত্তর দিলেন, কারু ঘুমিয়ে থাকা ভালাে, কাক জেগে
তগৰ, সে কি রকম?
অতী, যারা অধার্মিক, অধর্ম আচরণ করে, অধর্ম যাদের প্রিয় তাদের ঘুমিয়ে থাকা গলাে। কারণ তারা যদি ঘুমিয়ে থাকে তবে তারা অন্যের দুঃ, শােক ও পরিতাপের যেমন কারণ হয় না তেমনি