________________
বর্ধমান মহাবীর
বারাণসী হতে রাজগৃহের পথে বর্ধমান এলেন আলভিরা । আলভিয়ার শঙ্খবন উত্থানে তিনি কিছুকাল অবস্থান করলেন ।
এই শঙ্খবন উদ্যানের কাছেই থাকেন তপস্বী পোগল, কঠিন তপশ্চর্যার জন্য যিনি বিভঙ্গ জ্ঞান লাভ করেছিলেন। এই বিভঙ্গ জ্ঞানে ব্ৰহ্ম দেবলোক পর্যন্ত দেবতাদের গতি ও স্থিতিকে তিনি প্রত্যক্ষ দেখতে লাগলেন।
সেই বিভঙ্গ জ্ঞান লাভ করাতেই পোগগলের মনে হল যে তিনি শুদ্ধ কেবল-জ্ঞান লাভ করে ফেলেছেন। তাঁর আর কিছু জানবার বা দেখবার বাকী নেই। পোগগল আলভিয়ার রাজপথে দাঁড়িয়ে সেকথা সবাইকে বলতে লাগলেন ।
ভিক্ষাচর্যায় গিয়ে সেকথা শুনে এলেন ইন্দ্রভূতি গৌতম । কিরে এসেই তিনি বর্ধমানকে প্রশ্ন করলেন, ভগবন্, এখন আলভিয়ায় পোগ্গলের জ্ঞান ও সিদ্ধান্তের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। পোগল নাকি বলেছে যে ব্রহ্মলোক পর্যন্তই দেবলোক তারপর দেবলোক নেই । তাদের আয়ু দশ হাজার বছর হতে দশ সাগরোপম পর্যন্ত । ভগবন্, সে কি সত্য ?
বর্ধমান বললেন, না গৌতম। পোগ্গলের জ্ঞান অবাধ জ্ঞান নয় । তা সীমিত। ব্রহ্মলোকের পরও দেবতাদের বাসভূমি আছে। সর্বশেষ অনুত্তর বিমান যেখানে দেবতাদের আয়ু দশ হাজার বছর হতে তেত্রিশ সাগরোপম পর্যন্ত ।
বর্ধমানের এই স্পষ্টীকরণ আলভিরাবাসীরা যার৷ সেখানে উপস্থিত ছিল তারাও শুনল । তারা বর্ধমানের কথা নিয়ে আলোচনা করতে লাগল । শেষে সেকথা পোগ গলের কানে গেল ।
বর্ধমান সর্বজ্ঞ, বর্ধমান তীর্থংকর, বর্ধমান মহাতপস্বী পোগল সেকথা আগেই শুনেছিল। তাই বর্ধমানের কথায় সে শঙ্কিত হয়ে উঠল ও সত্য নির্ণয়ের জন্য তাঁর কাছে গিয়ে উপস্থিত হল।
১২৪
পোগ গল বৰ্ধমানকে ৰদনা ও নমস্কার করে আসন গ্রহণ করল। তারপর বলল, ভগবন, আমি যে দেবলোকের অবধি পর্যন্ত দেখতে