________________
তীর্থংকর এৰাৰ এল, সে কথা আর জিজ্ঞেস করবেন না। যেমন জ্ঞানী, তেমনি মধুরা তাঁর বাণী। | সেকথা শুনে গৌতম আরও জ্বলে উঠলেন। বমানকে তাঁকে ৰাদে পরাস্ত করতে হবে। এ তাঁর প্রতিষ্ঠার প্রশ্ন। নইলে তার সর্বজ্ঞ থাকবে না। আবার ভাবলেন, সত্যিই কী বর্ধমান সর্বজ্ঞ।
কোনাে শঠ, প্রবঞ্চক বা ঐন্দ্রজালিক নিজের সম্মােহনী শক্তিতে সবাইকে বিভ্রান্ত করছে। যাকেই সে বিভ্রান্ত করুক কিন্তু তাঁকে বিভ্রান্ত করা সহজ নয়। গৌতম তখন তাঁর শিষ্যদের নিয়ে মহাসেন উদ্যানের দিকে যাত্রা করলেন। | গৌতম সত্যিই বড় পণ্ডিত ছিলেন। বাদে সবাইকে তিনি পরাস্ত করেছেন। কোথাও পরাজিত হননি। কিন্তু পাণ্ডিত্য এক, সাধন সিদ্ধি আর। তাই যখন বর্ধমানের সামনে এসে উপস্থিত হলেন তখন তিনি তাঁর যােগৈশ্বর্য ও তপঃপ্রভাবে অভিভূত হয়ে গেলেন। তিনি বর্ধমানকে তর্কে পরাস্ত করতে এসেছিলেন কিন্তু এখন দেখলেন তাঁকে তর্কে পরাস্ত করবার কোনাে প্রবৃত্তিই যেন তাঁর আর নেই। বরং আত্মার অস্তিত্ব সম্পর্কে তাঁর যে সংশয় ছিল সে সংশয়ের কথা মনে এল। মনে মনে ভাবলেন—ইনি যদি অজিজ্ঞাসিততাৰে সেই সংশয়ের নিরসন করে দেন তবে তিনি তাকে সর্বজ্ঞ বলে স্বীকার করে নেবেন।
গৌতমকে তদস্থ দেখে বর্ধমানই প্রথম কথা বললেন। বললেন, ইন্দ্রভূতি গৌতম, আত্মার অস্তিত্ব সম্বন্ধেই না তােমার সন্দেহ। আত্মা আছে কী নেই—তাই নয় কী?
আশ্চর্য চকিত হলেন গৌতম। কী করে জানলেন ইনি তাঁর মনের কথা, তাঁর নাম। তবে নিশ্চয়ই ইনি তাঁর সংশয়ের নিরসন করে দিতে পাবেন। গৌতম তাই আরও বিনীত হয়ে বললেন, হ্যা গন্। কিন্তু কেন? কেন? এগৰ ৰেদেই ত সেবা গয়েছে। বিজ্ঞানয়ন