________________
১০২
বর্ধমান মহাবীর এৰৈতেভ্যো ভূতেভ্য সমুখায় তাতে বিনতি। ন প্রেত্য সংজ্ঞান্তি।
কিন্তু গৌতম, স বৈ অয়মাত্মা জ্ঞানময় ইত্যাদি বাক্যে বেদে আত্মার অস্তিত্বও ত আবার স্বীকৃত হয়েছে?
হ্যা, ভগন্। আমার শঙ্কার কারণও তাই।
গৌতম, তুমি যেমন বিজ্ঞানঘন অর্থ কছ, বাস্তবে তা তার অর্থ নয়। বিজ্ঞানঘন ইত্যাদি বাক্যের অর্থ আত্মায় প্রতিনিয়ত যে জ্ঞান পর্যায়ে উদ্ভব ও পূর্ববর্তী জ্ঞান পর্যায়ের লােপ হয় তাই। এখানে পদার্থের জ্ঞান পর্যায়ই বিজ্ঞানঘন যা ভূত বা জ্ঞেয় পদার্থ হতে উৎপন্ন হয়। ন প্ৰেত্য সংজ্ঞাস্তি তাৎপর্যও পরলােকের সঙ্গে নয়। যখন নূতন জ্ঞান পর্যায়ের উদ্ভব হয় তখন পূর্ববর্তী জ্ঞান পর্যায় স্ফুটিত হয় না এই মাত্র।
| বর্ধমানের মুখে বেদবাক্যের এমন অপূর্ব সমন্বয় শুনে ইন্দ্রভূতি গৌতমের অজ্ঞানান্ধকার মুহূর্তেই দূর হয়ে গেল। তিনি করজোড়ে বর্ধমানের সামনে দাড়িয়ে বললেন, তগৰ, আমি নিগ্রন্থ প্রবচন শুনতে অভিলাষী।
বর্ধমান তখন তাঁকে নিগ্রন্থ প্রবচনের উপদেশ দিলেন। সেই উপদেশে গৌতম সংসারবিরক্ত হয়ে তাঁর শিষ্যসহ বর্ধমানের কাছে শ্ৰমণধর্ম গ্রহণ করলেন।
ইন্দ্রভূতি শ্ৰমণধর্ম গ্রহণ করেছেন সে খবর মুহূর্তেই সর্বত্র পরিব্যাপ্ত হয়ে গেল। শুনে কেউ বললে বর্ধমান জ্ঞানের অগাধ বারিধি ; কেউ বলল ধর্মের সাক্ষাৎ অবতার। তা নইলে গৌতমকে পরাস্ত করা মানুষের সাধ্য নয়।
ইন্দ্রভূতির পরাজয় ও শ্রমণধর্ম গ্রহণের পর তাঁর ছােট ভাই অগ্নিতিও শুনলেন। তিনিও মধ্যমা পাৰায় মশালায় আমন্ত্রিত হয়ে এসেছিলেন। প্রথমে ইহুতিয় পরাজয় হয়েছে সে কথা তাঁর বিশ্বাসই হয়নি। পুৰে সূৰ পশ্চিমে উদিত হতে পারে কিন্তু ইতির পরাজয় কখনাে নয়। কিন্তু ইন্দ্রভূতি যখন মহাসেন