________________
তীর্থংকর
অভি।
অগ্নিতি, তুমি এই মাত্র বললে পুরুষ অদৃশ্য, ইন্দ্রিয়াতীত। পুরুষ হতে অভিন্ন জগৎ তবে কি করে ইন্দ্রিয় প্রত্যয়ের বিষয় হয় ?
ভগ, মায়ায়। নামরূপাত্মক দৃশ্য জগতের উদ্ভব হয় মায়ায়। মায়া ও মায়া হতে উদ্ভূত নামরূপ জগৎ সৎ নয় কারণ কালান্তরে এর নাশ হয়।
অগ্নিভূতি, তবে কী দৃশ্য জগৎ অসৎ ?
, ভগব। যেমন তা সৎ নয়, তেমনি অসৎও নয়। কারণ জ্ঞান সময়ে তা সৎরূপে এতিভাসিত হয়।
সৎও নয়, অসৎও নয়, তবে তুমি তাকে কি বলৰে ? সৎ ও অসৎ হতে স্বতন্ত্র এই মায়াকে আমি অনির্বচনীয় বলব।
অগ্নিভূতি, শেষ পর্যন্ত তােমাকে পুরুষাতিরিক্ত মায়ারূপ স্বতন্ত্র পদার্থকে স্বীকার করতেই হল। তবে কোথায় রইল তােমার পুরুষাদ্বৈতবাদ? অগ্নিভূতি, একটু চিন্তা কর—এই দৃশ্য জগৎ যদি পুরুষ হতে অভিন্ন হয় তবে তা ইন্দ্রিয়গােচর হতে পারে না কিন্তু তুমি সেই জগৎকে প্রত্যক্ষই দেখছ। নিশ্চয়ই তুমি একে ভ্রান্তি বলবে না?
ভগব, যদি আমি একে ভ্রান্তিই বলি।
অগ্নিভূতি, ভ্রান্তজ্ঞান উত্তরকালেও ভ্রান্তই প্রমাণিত হয়। কিন্তু তুমি যাকে ভ্রান্তি বলছ তা কোনাে সময়েই ভ্রান্ত বলে প্রমাণিত হয়নি। তাই তা ভ্রান্তি নয়। নির্বাধ জ্ঞান।
ভগ, বাস্তবে মায়া পুরুষেরই শক্তি। পুরুষ বিবর্ত সময়ে নামরূপাত্মক জগৎ হয়ে ভাসমান হয়। বস্তুতঃ মায়া পুরুষ হতে ভিন্ন নয়।
অগ্নিভূতি, মায়া যদি পুরুষের শক্তিই হয় তবে তা পুরুষের জ্ঞানাদি অন্য গুণের মত অরূপী ও অদৃশ্য হতে হয়। কিন্তু মায়া অদৃশ্য নয়। তাই মামা পুরুষের শক্তি হতে পারে না। মায়া পুরুষ হতে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। তাছাড়া পুরুষ বিবর্তীকার করলেও তা হতে