________________
১০৪
বর্ধমান মহাবীর পুনরায় কর্মবদ্ধ হতে পারে। সেক্ষেত্রে কাউকেই আর মুক্ত বলা যাবে না। যদি দীৰ ও কর্মের সম্বন্ধকে অনাদি বলা হয় তৰে কৰ্মও আত্ম রূপের মত নিত্য। যা নিত্য তা কখনাে বিনষ্ট হয় না। সেক্ষেত্রে জীব কোনাে সময়েই কর্মমুক্ত হবে না। যদি কর্মমুক্তই না হবে তবে মুক্তির জন্য প্রয়াসও নিরর্থক।
| বর্ধমান বললেন, অগ্নিভূতি, তােমার কথাতেই বােঝা যায় যে তুমি পুরুষ এবেদং ইত্যাদি শ্রুতিবাক্যের যথার্থ তাৎপর্য বুঝতে পায়নি। এই শ্রুতিবাক্য পুরুষাদ্বৈতবাদের সাধক নয়, জুতি বাক্য মাত্র।
কেন ভগব। এই জন্যই যে পুরুষাদ্বৈতবাদ দৃষ্টাপলাপ ও অদৃষ্টকল্পনা দোষে
সে কী রকম?
অগ্নিভূতি, সে এই রকম। পুরুষাদ্বৈত স্বীকার করলে পৃথিবী, জল, অগ্নি, বায়ু আদি বা প্রত্যক্ষ তার অপলাপ হয় ও সৎ ও অসৎ হতে স্বতন্ত্র ‘অনির্বচনীয় এক অদৃষ্ট বস্তুর কল্পনা করতে হয়। | না, ভগৰ। পুরুষাদ্বৈতবাদী এই দৃশ্যজগৎকে পুরুষ হতে ভিন্ন মনে করেন না, তাই অপলাপের প্রশ্নই নেই। জড় ও চেতনের পার্থক্য ব্যবহারিক কল্পনা মাত্র। বস্তুতঃ যা কিছু দৃশ্য অদৃশ্য, চর অচর সমস্তই পুরুষরূপ।
আচ্ছা, অগ্নিভূতি, পুরুষ দৃশ্য না অদৃশ্য।
ভগৰ, পুরুষ রূপ রস স্বাদ গন্ধ ও স্পর্শহীন, অদৃশ্য। ইন্দ্রিয় দিয়ে পুরুষকে প্রত্যক্ষ করা যায় না। | অগ্নিতি, যা চোখ দিয়ে দেখা যায়, কান দিয়ে শােনা যায়, নাক দিয়ে শোনা যায়, জিভ দিয়ে যায় আবাদ নেওয়া যায় ও অক দিয়ে বা স্পর্শ করা যায় তাকে তুমি কি বলবে?
গৰ, সে সমস্তই নাম রূপাত্মক জগৎ। অগ্নিতি, এরা পুরুষ হতে িনা অভিজ।