________________
তীর্থংকর
১১৯
মেঘকুমারের চোখে জল ভরে এসেছিল। বর্ধমান তার দিকে চেয়ে বললেন, মেঘকুমার, পূর্বজন্মে তুমি ওই হাতী ছিলে। অল্পপ্রাণ খরগোশের জন্য তোমার মনে দয়ার উদ্রেক হয়েছিল তাই তুমি এজন্মে রাজপুত্র হয়ে জন্মগ্রহণ করেছ। মেঘের প্রত্যাশা করে তুমি মারা গিয়েছিলে তাই তোমার মায়ের মেঘের দোহদ হয়েছিল যার জন্য তোমার নাম রাখা হয় মেঘকুমার ।
মেঘকুমারের চেতনা জাগ্রত হয়ে উঠল। পশুজীবনে সে যদি একটি নগণ্য প্রাণীর জীবন রক্ষার জন্য এতখানি ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে থাকতে পারে তবে মনুষ্য জীবনে সে কি সামান্য পা মাড়িয়ে দেওয়ায় এতখানি অধৈর্য হয়ে উঠবে ?
বর্ধমান মেঘকুমারের মুখের দিকে চেয়ে বললেন, মেঘকুমার, তুমি কি সংসারাশ্রমে ফিরে যাবে ?
মেঘকুমারের সমস্ত ভাবনার তখন জট খুলে গেছে। সে বর্ধমানের চরণ স্পর্শ করে বলল, না, ভগবন্, না ।
রাজপুত্র নন্দীসেন এসেছে বর্ধমানের কাছে দীক্ষাগ্রহণ করতে । বর্ধমান তার দিকে চেয়ে বললেন, নন্দীসেন, তোমার জাগতিক সুখভোগ এখনো বাকী রয়েছে, তা ক্ষয় করে এসো, তোমায় আমি দীক্ষা দেব ।
কিন্তু নন্দীসেন সেকথা কানে নিল না। ভগবন, আমার সঙ্কল্প স্থির হয়ে গেছে। জাগতিক সুখভোগে আমার এতটুকু আসক্তি নেই ৷
বর্ধমান বললেন, নন্দীসেন, তোমায় আমি নিরুৎসাহ করতে চাই না, তবু আর একবার ভেবে দেখো ।
নন্দীসেন বলল, আমি সমস্ত ভাবনা শেষ করে এসেছি। আমায় গ্রহণ করুন।
বৰ্ধমান বললেন, বেশ তৰে তাই হবে ।
নন্দীসেন চলে যেতে গৌতম প্রশ্ন করলেন বর্ধমানকে। ভগবন্,