________________
তীর্থংকর উদ্যান হতে ফিরে এলেন না তখন তিনি খানিকটা কোত, খানিকটা অভিমান, খানিকটা আশ্চৰচকিত তা নিয়ে তার পাঁচশ জন শিষ্যসহ মহাসেন উদ্যানের দিকে যাত্রা করলেন। তাঁর এ বিশ্বাস তখন দৃঢ় ছিল যে বর্ধমানকে পরাস্ত করে তঁার অগ্রজ ইন্দ্রভূতি গৌতমকে তিনি আবার যজ্ঞশালায় ফিরিয়ে আনবেন।
অগ্নিভূতি যজ্ঞশালা হতে যে আবেগ ও উত্তেজনার বশবর্তী হয়ে বেরিয়েছিলেন মহাসেন উদ্যানের দিকে যতই এগিয়ে যেতে লাগলেন ততই দেখলেন তা যেন ক্রমশই স্তিমিত হয়ে আসছে। তারপর যখন তিনি বর্ধমানের সামনে এসে দাড়ালেন তখন তিনি যেন আর এক মানুষ।
বর্ধমানই প্রথম কথা বললেন। বললেন, অগ্নিভূতি, কর্মের অস্তিত্ব সম্বন্ধেই না তোমার সন্দেহ।
অগ্নিভূতি বললেন, হ্যা, ভগন্। তার কারণ?
কারণ শ্রুতি যখন পুরুষ এবেদং গিং সর্বং যদ্ভুতং যচ্চ ভাষ্যং এই বাক্যে পুরুষাদ্বৈতের প্রতিষ্ঠা করছে, যখন দৃশ্য অদৃশ্য, ৰাহ অত্যন্ত, ভূত ভবিষ্যৎ সমস্ত কিছু পুরুষই তখন পুরুষের অতিরিক্ত কর্মের অস্তিত্ব কিভাবে স্বীকার করা যায়। তাছাড়া যুক্তিতেও কী কর্মের অস্তিত্ব স্বীকার করা যায়। কর্মবাদীরা বলেন, যেমন কর্ম তেমনি ফল। জীব যেমন কর্ম করে তেমনি ফল লাভ করে। জীৰ নিত্য, অরূপী ও চেতন, অথচ কর্ম অনিত্য, রূপী ও জড়। সে ক্ষেত্রে এদের সম্বন্ধ অনাদি না সাদি অর্থাৎ কোনাে সময়ে হয়েছিল। যদি কোনাে সময়ে হয়ে থাকে তার অর্থ হল জীৰ তার পূর্ববর্তী সময়ে কর্মরহিত ছিল কিন্তু এই মান্যতা কমসিদ্ধান্তের প্রতিকূল। কারণ কমসিদ্ধান্ত অনুযায়ী জীবের কায়িক, বাচিক ও মানসিক প্রবৃত্তি পূর্বক কর্মেয় জন্য। সেক্ষেত্রে মুক্ত জীব কোনাে সময়েই বন্ধ হতে পারে না। কারণ বন্ধ হবার কারণে সেখানে সৰ অৰ। যদি বলা হয়। অকারণে কম হয় তবে একথাও বলা যেতে পারে যে মু ন্নত