________________
তীর্থংকর
সন্নিবেশের বাশিষ্ঠ গোত্রীয় ব্রাহ্মণ । শিষ্য সংখ্যা ৩৫০। মৌর্যপুত্র মৌর্য সন্নিবেশের কাশ্যপ গোত্রীয় ব্রাহ্মণ। শিষ্য সংখ্যা ৩৫০। অকম্পিত মিথিলার গৌতম গোত্রীয় ব্রাহ্মণ । শিষ্য সংখ্যা ৩০০ । অচলভ্রাতা কোশলনিবাসী হারীত গোত্রীয় ব্রাহ্মণ । শিষ্য সংখ্যা 9.. । মেতার্য তুংগিক সন্নিবেশের কৌডিন্য গোত্রীয় ব্রাহ্মণ । শিষ্য প্রভাস রাজগৃহের কৌডিন্য গোত্রীয় ব্রাহ্মণ । শিষ্য
সংখ্যা ৩০০।
সংখ্যা ২০০ ।
বায়ুভূতির শিষ্য সংখ্যা ছিল ৫০০।
এঁরা বর্ধমানকে পরাস্ত করতে গেলেন তা নয় কারণ ইন্দ্রভূতি ও অগ্নিভূতির মত পণ্ডিত যার কাছে পরাজিত হয়েছেন তাঁকে পরাজিত করার কল্পনা বাতুলতা মাত্র। তাঁরা গেলেন সেই জ্ঞান ও বৈরাগ্যের মূর্তিকে প্রত্যক্ষ করতে ও জীবাদি বিষয়ে তাঁদের প্রত্যেকের মনে যে যে শঙ্কা ছিল তার নিরসন করতে ।
বর্ধমান তাঁদের প্রত্যেককে স্বাগত জানালেন এবং প্রত্যেকের পৃথক পৃথক শঙ্কার নিরসন করে দিলেন। তারপর তাঁরাও সম্বুদ্ধ হয়ে বর্ধমানের শিষ্যত্ব গ্রহণ করলেন। এভাবে একদিনে ৪৪১১ জন ব্রাহ্মণ নিগ্রন্থ ধর্ম গ্রহণ করলেন। বর্ধমান ইন্দ্রভূতি প্রমুখ ১১ পণ্ডিতদের তাঁদের নিজ নিজ গণ বা শিষ্যের ওপর সর্বাধিকার দিয়ে তাঁদের গণধর পদে অভিষিক্ত করলেন ।
এই ৪৪১১ জন ছাড়াও আর যারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাঁদের মধ্যেও অনেকে শ্রমণধর্ম অঙ্গীকার করলেন। যাঁরা শ্ৰমণ-ধৰ্ম অঙ্গীকারে অসমর্থ হলেন, তারা শ্রাবকধর্ম গ্রহণ করলেন। এভাৰে মধ্যমা পায় বৈশাখ শুক্লা দশমীতে বর্ধমান সাধু, সাধ্বী, শ্রাৰক ও শ্রাৰিকা রূপ চতুধি সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠা করে তীর্থ প্রবর্তিত করলেন ।
এই সভাতেই চন্দনাও তাঁর কাছে সাধ্বীধর্ম গ্রহণ করলেন । বৰ্ধমান তাঁকে সাধ্বী সঙ্ঘের নেত্রী করে দিলেন ।
মধ্যমা পাৰা হতে বর্ধমান এলেন রাজগৃহে।