________________
তীংকর তাই বিশ্বাস করাে জীব এনাদি। কর্মও অনাদি। তবে কর্মের অন্ত আছে, কর্ম অনন্ত নয়। কর্ম অন্তের যে পথ সেইপথ দিন নির্দিষ্ট পণ, সেপথ সম্যক দর্শন, জ্ঞান ও চারিত্রের পথ।
| এই সত্য, এছাড়া সত্য নেই এই বিশ্বাসের নাম সম্যক দর্শন। এই বিশ্বাসজনিত যে সত্য জ্ঞান তাই সম্যক জ্ঞান। তদনুরূপ যে আচরণ তাই সম্যক চারিত্র।
সম্যক দর্শন বা বিশ্বাসই যথেষ্ট নয়। চাই জ্ঞান, তত্ত্বের অবধারণ। কিন্তু তত্ত্বের অবধারণও বৃথা যদি না হয় তদনুরূপ আচরণ। তাই এই তিনটিকে একত্রে আরাধনা করতে হয়।
এই তিনটি মিলে এক ত্রিপুটি—ত্রিরত্ন। তিনে এক, একে তিন।
সম্যক চারিত্রের জন্য অহিংসা, সত্য, অচৌর্য, ব্রহ্মচর্য ও অপরিগ্রহ।
মহাবীরের পূর্ববর্তী তীর্থংকর অহিংসা, সত্য, অচৌর্য, ও অপরিএহের কথা বলেছিলেন; মহাবীর তার সঙ্গে ব্রহ্মচর্য যােগ করে দিলেন।
পার্শ্বনাথের চতুর্যাম ধর্ম তাই হল পঞ্চম।
বর্ধমান বললেন মনুষ্য জন্মের দুর্লভতার কথা। মানুষই কেবল মুক্ত হতে পারে, আর কেউ নয়। দেবতারাও মুক্ত হতে পারেন না কাৰণ স্বৰ্গ কর্মভূমি নয়, ভােগভূমি। মুক্তির জন্য তাই দেবতাদেরও মানুষ হয়ে জন্মাতে হয়।
মানুষ হয়ে জন্মান সুলভ নয়, কত জন্ম-জন্মান্তরের ভেতর দিয়ে জীৰ মানুষ হয়ে জন্মায়।
মানুষ হয়ে জন্মালেই কী সদ্ধর্ম শ্রবণ হয়? হয় না। সদ্ধর্ম শ্রবণ তাই দুভ।
সর্ম শ্ৰৰণ হলেই কি হয় তাতে বিশ্বাস। এ তাই
| কিন্তু এ হলেই কি সৰ হয়? হয় না, যদি না থাকে উদ্যম। হল তাই গর্মে উম ।