________________
তীর্থংকর
কেবল-জ্ঞান লাভ করে ঋজুলুক তীর হতে বর্ধমান একরাত্রে বায়াে যােন পথ অতিক্রম করে এলেন মধ্যমা পায়।
মধ্যমা পাৰায় আবার কারণ তখন সেখানে এক যজ্ঞের আয়ােজন করেছিলেন আচার্য সােমিল। সেই যজ্ঞে অংশ গ্রহণ করবার জন্য তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সর্ব ভারতীয় পণ্ডিতদের। বর্ধমান দেখলেন, তিনি যদি এখন সেখানে যান, যদি সেই সর্ব ভারতীয় পণ্ডিতদের মতে আনতে পারেন তবে নিগ্রন্থ ধর্ম প্রচারে তা তাকে অনেকখানি সাহায্য করবে। তাঁরা তাঁর তীর্থ প্রতিষ্ঠার কাজে শরিক হবেন।
বর্ধমান তীর্থ প্রতিষ্ঠা করতে এসেছিলেন, তিনি তীর্থংকর।
যারা কেবল কেবল-জ্ঞান লাভ করে নিজেরাই মুক্ত হন তাঁরা জিন, অহং, কেবলী, কিন্তু তীর্থংকর নন্। যারা নিজেরা মুক্ত হয়ে অন্যের মুক্তির পথ নিরূপণ করে দেন ও চতুধি সন্দ্রের প্রতিষ্ঠা করেন, তাঁরা তীর্থংকর।
জিন, অহং বা কেবলী অনেক হয়েছেন, কিন্তু তীর্থংকর?
এই অবসর্পিণীতে মাত্র চব্বিশটি। বর্ধমান সেই চব্বিশ সংখ্যক তীর্থংকর।
অবশ্য বর্ধমান মধ্যমা পাৰা যাবার আগে তাে লুকা তীরে তাঁর ধর্মসা বা সমসরণের আয়ােজন করেছিলেন। কিন্তু সেই সমসরণে কেবল মাত্র দেবতারা উপস্থিত ছিলেন। তাই বর্ধমানের উপদেশে কেউই সংযম ধর্ম গ্রহণ করতে পারেন নি। তীর্থংকরের উপদেশ এভাবে কখনাে ব্যর্থ যায় না। তাই এই ঘটনাকে জৈন সাহিত্যে ‘অহেয়া’ আশ্চর্যজনক বলে অভিহিত করা হয়েছে।