________________
প্রজা
সকালে এলেন মধ্যমা পায়। ভিক্ষাচর্যার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠী সিদ্ধার্থের ঘরে গেলেন।
শ্ৰেষ্ঠী সেই সময় ঘরে ছিলেন। তার মিত্র বৈদ্য খরও সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বর্ধমানের মুখাকৃতি দেখা মাত্রই বৈদ্যরাজ বলে উঠলেন, দেবার্য শরীর সর্বসুলক্ষণযুক্ত হলেও সশস্য।
সেকথা শুনে সিদ্ধার্থ কোথায় শল্য রয়েছে তা দেখতে বললেন।
খরক তখন বর্ধমানের সমস্ত শরীর নিরীক্ষণ করে বুঝতে পারলেন, যে তার কানের ভেতর শলাকা বিদ্ধ রয়েছে।
খক ও সিদ্ধার্থ তখন বর্ধমানের সেই শলাকা নিষ্কাশনের জন্য প্রস্তুত হলেন। কিন্তু বর্ধমান তাদের নিবারিত করে গ্রামের বাইরে গিয়ে আবার ধ্যানস্থিত হলেন।
কিন্তু নিবারিত হয়েও খরক ও সিদ্ধার্থ নিবৃত্ত হলেন না। তাঁকে অনুসরণ করে তিনি যেখানে ধ্যানস্থিত ছিলেন সেখানে এসে উপস্থিত হলেন ও তাকে ধরে তেলের এক দ্রোণীর মধ্যে বসিয়ে প্রথমে সর্বাঙ্গে তৈলমর্দন করলেন ও পরে সাঁড়াশী দিয়ে তাঁর দুই কান হতে দুই কাশলাকা টেনে বার করলেন। বর্ধমান অসাধারণ ধৈর্যশীল হওয়া সত্ত্বেও সেই সময় তীব্র বেদনায় চীৎকার দিয়ে উঠলেন। শলাকা নিষ্কাশন করবার পর খক তাঁর কানের ভেতর সংঘােহণ ঔষধিতে তরে দিলেন ।
গােপের অত্যাচারের উপসর্গ দিয়ে বর্ধমানের প্রব্রজ্যা জীবনের আরম্ভ হয়েছিল, গােপের অত্যাচারের উপসর্গ দিয়েই তার শেষ হল ।
বর্ধমানকে যে সব উপসর্গের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তার মধ্যে যত উপসর্গ ছিল কটপুতনাকৃত শীত উপসর্গ ; মধ্যম উপসর্গের মধ্যে সংগমক সৃষ্ট কালচক্র নিক্ষেপ উপসর্গ ও উৎকৃষ্ট উপসর্গের মধ্যে খরক কত শলাকা নিষ্কাশনরূপ এই উপসর্গ ।
বর্ধমান এৰা নেবার পর সাড়ে বারাে বছর অতিক্রান্ত হতে চলেছে। এই দীর্ঘকাল তাঁর অনুপম জ্ঞান, অনুপম দর্শন, অনুপম