________________
প্রব্রজ্যা
সঙ্ঘে প্রবেশ করেছিলেন যার সর্বাধিনায়িকা ছিল আর্যা চন্দনা। কিন্তু সেকথা এখানে নয় ।
১৩
বর্ধমান কৌশাম্বী হতে সুমঙ্গল, সুচ্ছেতা, পালক আদি গ্রাম হয়ে এলেন চম্পায়। চম্পায় তিনি তাঁর প্রব্রজ্যা জীবনের দ্বাদশ চাতুর্মাস্য ব্যতীত করবেন ।
বর্ধমান সেখানে এসে আশ্রয় নিলেন স্বাতি দত্ত নামক এক ব্রাহ্মণের যজ্ঞশালায় ।
সেই যজ্ঞশালায় বর্ধমানের তপশ্চর্যায় প্রভাবিত হয়ে প্রতি রাত্রে তাঁকে বন্দনা করতে আসে পূর্ণতন্ত্র ও মণিভদ্র নামে দু'জন যক্ষ । বর্ধমানের সঙ্গে তাদের কথা হয়। স্বাতি দত্ত যেদিন সেকথা জানতে পারলেন সেদিন তিনিও এলেন তাঁর কাছে ধর্মতত্ত্ব জিজ্ঞাসু হয়ে এসেই প্রশ্ন করলেন, এই শরীরে আত্মা কে ?
বর্ধমান প্রত্যুত্তর দিলেন, যা আমি শব্দের বাচ্যাৰ্থ, তাই আত্মা । আমি শব্দের বাচ্যার্থ বলতে আপনি কী বলতে চান ? স্বাতি দত্ত, যা এই দেহ হতে সম্পূর্ণ-ই ভিন্ন এবং সূক্ষ্ম । ভগবন্, কি রকম সূক্ষ্ম ? শব্দ, গন্ধ ও বায়ুর মত সূক্ষ্ম কী ? না স্বাতি দত্ত, কারণ চোখ দিয়ে শব্দ, গন্ধ ও বায়ুকে দেখা না গেলেও, অন্য ইন্দ্রিয় দিয়ে এদেরকে গ্রহণ করা যায়। যেমন কান দিয়ে শব্দকে, নাক দিয়ে গন্ধকে, ত্বক দিয়ে বায়ুকে । ইন্দ্রিয় দিয়ে গ্রহণ করা যায় না তাই সূক্ষ্ম ; তাই আত্মা ।
যা কোনো
ভগবন্, তবে কি জ্ঞানই আম্মা ?
না, স্বাতি দত্ত। জ্ঞান তার অসাধারণ গুণ মাত্র, আত্মা নয় । যায় জ্ঞান হয় সেই জ্ঞানীই আত্মা ।
স্বাতি দত্ত জন্য প্রশ্ন করলেন। বললেন, ভগবন্ প্রদেশন শব্দের অর্থ কী ?
বৰ্ধমান বললেন, প্রদেশন শব্দের অর্থ উপদেশ । উপদেশ হুই ধরনের : ধার্মিক, অধার্মিক।