________________
বর্ধমান মহাবীর চারিত্র, অনুপম লাঘৰ, অনুপম শান্তি, অপম মুক্তি, অনুপম প্রাপ্তি অনুপম সত্য, অনুপম সংযম ও অনুপম ত্যাগের দ্বারা আত্মানুসন্ধান করতে করতেই ব্যয়িত হয়েছে। এখন উপস্থিত হয়েছে তার কেবল জ্ঞান লাতের চরম মুহুর্ত।
বর্ধমান মধ্যমা পাবা হতে এসেছেন আবার জংভীয়গ্রামে। সেখানে জংভীয়গ্রামের বাইরে ঋজুবালুকার উত্তর তীরে শ্যামাকে ভূমিতে শালবৃক্ষের নীচে ধ্যানস্থিত হয়েছেন। বর্ধমান সেদিন দু’দিনের উপবাসী ছিলেন। সেখানে সেই ধ্যানাবস্থায় দিনের চতুর্থ প্রহরে শুরু ধ্যানের পৃথক-বিতর্ক-সবিচার, একত্ব-বিতর্ক-অবিচার অবস্থা অতিক্রম করে জ্ঞানাবরণীয়, দর্শনাবরণীয়, মােহনীয় ও অন্তরায় এই চার রকম ঘাতি কর্মের ক্ষয় করে কেবল-জ্ঞান ও কেৰল-দর্শন লাভ করলেন। | এই চরম উৎকৃষ্ট জ্ঞান ও দর্শন অনন্ত, ব্যাপক, সম্পূর্ণ, নিরাবরণ ও অব্যাহত, যে জন্য এর প্রাপ্তির পর সমস্ত লােকালােকের সমস্ত পর্যায় বর্ধমানের দৃষ্টিগােচর হতে লাগল। তিনি অহ অর্থাৎ পূজনীয়, জিন অর্থাৎ রাগৱেষজয়ী ও কেবলী অর্থাৎ সর্বজ্ঞ ও সর্বদর্শী হলেন।
| সেদিন বৈশাখ ৩ দশমী ছিল। চন্দ্রের সঙ্গে উত্তরা ফাঙ্কনী নক্ষত্রের যােগ ছিল।