________________
১০
বর্ধমান মহাবীর স্বাতি দত্ত, প্রত্যাখ্যান অর্থ নিষেধ। নিষেধও দুই ধরনের। মূলগুণ প্রত্যাখ্যান, উত্তর গুণ প্রত্যাখ্যান। আত্মার দয়া, সত্যবাদিতা আদি স্বাভাবিক মূলগুণের রক্ষা ও হিংসা, অসত্যাদি ৰৈভাবিক প্রবৃত্তির পরিত্যাগ মূলগুণ প্রত্যাখ্যান। এই মূলগুণে সহায়ক সদাচারের বিপরীত আচরণের ত্যাগ উত্তরগুণ প্রত্যাখ্যান।
এই সব প্রশ্নোত্তরের ফলে স্বাতি দত্তের বিশ্বাস হল বর্ধমান কেবল মাত্র কঠোর তপৰীই নন, মহাজ্ঞানীও।
চাতুর্মাস্য শেষ হতে বর্ধমান সেখান হতে এলেন জংভিয় গ্রাম। জংতিয় গ্রামে কিছুকাল অবস্থান করে মেঢ়িয় হয়ে এলেন ছম্মানি। ছম্মানিতে গ্রামের বাইরে তিনি ধ্যানস্থিত হলেন।
যেখানে তিনি ধ্যানস্থিত হলেন, সেখানে এক গােপ খানিক বাদে এসে তার বল দুটো ছেড়ে দিয়ে গ্রামের দিকে চলে গেল। তারপর গ্রাম হতে ফিরে এসে যখন সে সেখানে তার বলদ দুটো দেখতে পেল না তখন বর্ধমানকে জিজ্ঞাসা করল, দেবা, আপনি কী আমার বলদ দুটো দেখেছেন?
বর্ধমান ধ্যানে ছিলেন, তাই কোনাে প্রত্যুত্তর দিলেন না।
প্রত্যুত্তর না পাওয়ায় গােপ ক্রুদ্ধ হল ও কাষ্ঠলাকা এনে তাঁর কানের ভেতর প্রবেশ করিয়ে কালা সাজাবার সাজা দিল। এমনভাবে প্রবেশ করা যাতে তা কর্ণপট ভেদ করে মাথার ভেতর পরস্পর মিলিত হয় অথচ বাইরে থেকে দেখলে কিছুই যেন বােঝ।
যায়। | বর্ধমানের সেই সময় অসহ্য যন্ত্রণা হয়েছিল কিন্তু তবু তিনি ধ্যানে নিশ্চল রইলেন।
ধ্যান ভঙ্গের পরও সেই শলাকা নিকাশন করবার কোনাে এই তিনি করলেন না, সেইভাবে সেই অবস্থায় এজন করে পরদিন