________________
বর্ধমান মহাবীর মৃগাৰতী এবারে চন্দনাকে বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরেছেন। বলেছেন, বসুমতী, আমি যে তাের মাসী হই। যুদ্ধে তাের বাবা মারা যাবার পর আমি তােদের অনেক সন্ধান করিয়েছি। কিন্তু কোনাে সন্ধান পাইনি। শুনি, প্রাসাদ আক্রমণ হলে তােয়া প্রাসাদ পরিত্যাগ করে কোথায় যেন চলে গেলি।
তখন প্রকাশ পেল প্রাসাদ আক্রমণের সময় এক সুভট যে ভাবে তাদের ধরে নিয়ে গিয়েছিল। মা খারিণী শীল রক্ষার জন্য যে ভাবে নিজের প্রাণ দিলেন। বসুমতী আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল কিন্তু সুতটের হৃদয় পরিবর্তন হওয়ায় সে তাকে আশ্বস্ত করে কৌশাম্বীতে নিয়ে আসে। কিন্তু তার স্ত্রীর বিরূপতায় সে শেষ পর্যন্ত চন্দনাকে বিক্রয় করতে বাধ্য হয়। প্রথমে তাকে কিনতে চেয়েছিল কৌশাম্বীর এক রূপােপজীবিনী। কিন্তু সে তার ঘরে যেতে অস্বীকার করে। পরে শ্রেষ্ঠ ধনবাহ তাকে ক্রয় করে নিয়ে আসেন। | মৃগাবতী আর একবার তাকে বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরলেন। বললেন, বসুমতী আজ হতে পাের সমস্ত দুঃখের অবসান হল। | সেকথা শুনে চন্দনা চোখের জলের মধ্য দিয়ে হাসল। হাসল, কারণ সংসারে কি দুঃখের শেষ আছে। যদিও চনার বয়স খুৰ বেশী নয়, তবু সে সংসারের নির্লজ্জ রূপটাকে দেখেছে। দেখেছে মানুষের লালসা ও লােভ, নীচতা ও উৎপীড়ন। সংসারে তার আর মােহ নেই। সে শান্তি চায়, জন্ম মৃত্যুর এই প্রবাহ হতে মুক্তি।
চলনা তাই রাজাপুরে ফিরে গেল না। প্রতীক্ষা করে রইল সেইদিনের যেদিন বর্ধমান কেৰল-জ্ঞান লাভ করে সর্বজ্ঞ তীর্থংকর হবেন। বর্ধমান যখন জ্ঞান লাভ করে সর্বজ্ঞ তীর্থংকর হলেন সেদিন চন্দনা এসে তাঁর কাছে সাধ্বী ধর্ম গ্রহণ করল। মেয়েদের মধ্যে চন্দনাই তাঁর প্রথম শিয়া।
চন্দনা এই জীবনেই সাধ্বী ধর্ম পালন করে জন্ম মৃত্যুর প্রবাহ হতে মুক্তি লাভ করেছিল।
আর গাৰতী? মৃগাৰতীও পরে সাথী ধর্ম গ্রহণ করে এমী