________________
১০
বর্ধমান মহাবীর | কিন্তু চন্দনায় প্রতি শ্ৰেষ্ঠীর এই অহেতুক নেহই হল চন্দনার কাল। শ্ৰেষ্ঠীর স্ত্রী মূলা এর জন্য বিষ চোখে দেখতে লাগলেন চন্দনাকে। ভাবলেন, চন্দন তার রূপের জন্য হয়ত একদিন কী হয়ে উঠবে এই ঘরে। সেদিন সে তার সপত্নীই হবে না, সেদিন সন্তানহীন মূলার কোন মর্যাদাই থাকবে না শ্ৰেষ্ঠীর চোখে।
কিন্তু শ্ৰেষ্ঠীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কি করতে পারেন মূলা? তাছাড়া শ্ৰেষ্ঠীর অনুরাগের এখনাে তিনি কোনাে প্রত্যক্ষ প্রমাণ পান নি। | তবু চন্দনার প্রতি তাঁর দুর্ব্যবহারের সীমা নেই।
কিন্তু শেষে একদিন সেই অনুরাগের প্রমাণও পাওয়া গেল। অন্ততঃ মূলার তাই মনে হল। মূলা দেখলেন, শ্রেষ্ঠী সেদিন মধ্যাহ্নে ঘরে আসতেই চন্দনা যেভাবে ভৃঙ্গারে করে তার পা ঘােয়ার জল নিয়ে এল। তারপর তার পায়ের কাছে বসে তাঁর পা ধুইয়ে দিল। | শ্রেষ্ঠী অবশ্যই নিষেধ করেছিলেন। বলেছিলেন, নিজেই ধুয়ে নিতে পারবেন। অন্যদিন অন্য দাসীরাই ধুইয়ে দেয়। আর কেউ নিকটে ছিল না। তাই চন্দনা জল নিয়ে এসেছে। কিন্তু চন্দনা তার কথা শুনল না।
তারপর পা ঘােয়াবার সময় কেমন করে তার চুলের গ্রন্থি খুলে গিয়ে সমস্ত চুল এলিয়ে পড়ল। কিছু মাটিতে গিয়ে পড়ল। চুলে কাদা লাগবে তেৰে শ্ৰেষ্ঠী সেই চুল আলগােছে তুলে নিয়ে আবার তার মাথায় গ্রন্থি বেঁধে দিলেন।
মূলা এই দৃশ্য নিজের চোখেই দেখলেন। এর মধ্যে কিছুই অস্বাভাবিক ছিল না। কিন্তু মূলার চোখে ঈর্ষার অঞ্জন। মূলা তাই সমস্তটাকে অনুরাগের লক্ষণ বলে ধরে নিলেন।
এর জন্য চন্দনাকে কি শাস্তি দেওয়া যায়? ধু শাস্তি কেন, তাকে কী একেবারেই সরিয়ে দেওয়া যায় না। মূল সেদিন হতে সেই সুযােগের অপেক্ষা করে রইলেন।
সেই সুযােগও আবার সহসাই এসে গেল। শ্রেষ্ঠ কি একটা কাজে তিন দিনের এ কৌশাম্বীর বাইরে গেলেন। মূলা সেই