________________
বর্ধমান মহাবীর কিন্তু কি সে অভিগ্রহ।
সে অতিগ্রহের কথা কারু জানবার উপায় নেই। বর্ধমান সে অতিগ্রহের কথা নিজে হতে কাউকে বলবেন না।
মৃগুপ্ত তাই ঘরে আসতেই না তাকে সমস্ত কথা খুলে বললেন। বললেন, তােমার বুদ্ধিচাতুর্যে ধিক যদি তুমি তার কী অভিগ্ৰহ তা না আনতে পার। তােমার অমাত্য পদে অভিষিক্ত থাকাও বৃথা যদি না কৌশাখীতে বর্ধমান ভিক্ষা পান।
| যখন তাদের মধ্যে এই কথা হচ্ছিল তখন সেখানে দাড়িয়েছিল রাণী মৃগাৰতীর দূতী বিজয়। বিজয়া সেকথা গিয়ে মৃগাৰতীকে নিবেদন করল। মৃগাৰতী শতানীককে বললেন। বললেন, বর্ধমান আজ কয়েকমাস ধরে নগরে ভিক্ষাচর্যায় আসছেন কিন্তু ভিক্ষা না নিয়েই ফিরে যাচ্ছেন। অথচ তিনি কেন ভিক্ষা নিচ্ছেন না—সেকথা কারু মনে এল না, বা তার কী অভিগ্ৰহ তাও জানা গেল না।
শতানীক গুপ্তকে ডেকে পাঠালেন। সুগুপ্ত তথ্যবাদী পণ্ডিতদের। তাঁরা অনেক শাস্ত্র মন্থন করে সেখানে দ্রব্য, ক্ষেত্র, কাল ও ভাৰ বিষয়ক যে সৰ অভিগ্রহের কথা লিপিবদ্ধ আছে ও সাত রকমের যে পিণ্ডৈষণা ও পানৈষণা তা নিরূপিত করে শ্রমণদের আহার ও এল দেবার যে রীতি তা বিবৃত করলেন। রাজাও সেই তথ্য নগরে প্রচারিত করে দিলেন ও সেই ভাবে বর্ধমানকে ভিক্ষা দিতে বললেন। কিন্তু বর্ধমান তবু ভিক্ষা গ্রহণ করলেন না।
সেই অতিগ্ৰহ নেবার পর ছ'মাস প্রায় অতীত হতে চলেছে আর মাত্র পাঁচ দিন বাকী। বর্ধমান সেদিন তিক্ষায় এসেছেন শ্রেষ্ঠ নবাহের ঘরে। | না ঘরের মধ্যে না ঘরের বাইরে ঠিক দরজার মাঝখানে দাড়িয়ে রয়েছে মলিন বসনা একটি মেয়ে। মুণ্ডিত যার মাথা, হাতে হাতকা, পায়ে বেড়া। হাতে বুলাের কোণে রাখা সে কলাই। জানায় বিছােয় । ৰমানের ওপর চোখ পড়তেই সে উৎফুর হয়ে
উঠল।