________________
বর্ধমান মহাবীর বগ্রাম হতে অলংভিয়া, সেয়বিয়া হয়ে তিনি এলেন শ্রাবন্তী। তারপর কৌশাম্বী, বারাণসী, রাজগৃহ ও মিথিলা হয়ে বৈশালী। বৈশালীর বাইরে সমগােদ্যান বলে যে উদ্যান ছিল সেই উদ্যানে বলদেৰ মন্দিরে অবস্থান করলেন। বৈশালীতেই তিনি এবারের বর্ষাবাস ব্যতীত করবেন।
বৈশালীতে থাকেন শ্রেষ্ঠী জিনদত্ত। জিনদত্তের এখন পূর্বে সে সমৃদ্ধি নেই। তাই সকলে তাঁকে জিন শ্রেষ্ঠী না বলে, বলে জীর্ণ শ্ৰেষ্ঠী। কিন্তু সে যা হােক, জিন শ্রেষ্ঠী ছিলেন খুবই সরল ও শ্রদ্ধাবান। বর্ধমান তাই যখন সময়ােদ্যান উদ্যানে অবস্থান করছিলেন তখন তিনি প্রতিদিন এসে তাঁর বন্দনা করে যেতেন ও তাঁকে তাঁর ঘরে ভিক্ষা নেবার জন্য আমন্ত্রণ করতেন।
বর্ধমানের চাতুর্মাসিক তপ ছিল। তাই তিনি ভিক্ষা নিতেই যান না। তাছাড়া শ্রমণকে আমন্ত্রিত হয়ে ভিক্ষা নিতে যেতে নেই।
বর্ধমানকে ভিক্ষা নিতে নগরে যেতে না দেখে জিন শ্রেষ্ঠ বলেন, বর্ধমানের হয়ত মাসিক তপ রয়েছে। তাই মান্তে তিনি বর্ধমানকে তার ঘরে ভিক্ষা গ্রহণের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন।
কিন্তু বর্ধমান সেদিন ও তারপরেও ভিক্ষাচর্ষায় গেলেন না।
জিন শ্রেষ্ঠী তখন ভাবলেন, বর্ধমানের হয়ত দ্বিমাসিক তপ রয়েছে।
এভাবে দ্বিতীয়, তৃতীয় চতুর্থ মাসও অতীত হয়ে গেল। চাতুর্মান্যের শেষের দিন জিন শ্রেষ্ঠ আবার তাঁর প্রার্থনা জানালেন ও নিজের ঘরে গিয়ে তার প্রতীক্ষা করে রইলেন। | বর্ধমান সেদিন ভিক্ষায় গেলেন—কিন্তু জিন শ্রেষ্ঠীর ঘরে গেলেন
, অভিনৰ শ্ৰেষ্ঠীর ঘরে ভিক্ষা নিয়ে তিনি তাঁর অবস্থান স্থানে ফিরে এলেন। অভিনৰ শ্ৰেষ্ঠীর দাসী দারুহকে করে তাঁকে কলাই সেদ্ধ ভিকা দিল। তিনি তাই গ্রহণ করে তাঁর চাতুর্মাসিক তপেয় পায়ণ করলেন।
জিন শ্রেষ্ঠী যখন সেকথা জানতে পাবেন তখন মনে মনে একটু