________________
বর্ধমান মহাবীর গােশালক সেই কথাই বললেন বর্ধমানকে। বললেন, ভগ, আপনার সঙ্গে থেকে আমার সুখ নেই। আমি স্বতন্ত্র বিচরণ করতে চাই।।
কিন্তু বর্ধমানও বা কিভাবে তাঁকে সুখ দিতে পারেন। তার জন্য ত সংসার। সেখানে যেমন দুঃখ আছে তেমনি মুখও। অবশ্য সে সুখ নিত্য নয়, আত্যন্তিকও নয়। কিন্তু সে সুখ ত বর্ধমান গােশালককে দিতে পারেন না। তিনি যা দিতে পারেন তা আনন্দ।
আনন্দ সুখ নয়। সুখ দুঃখ বিহিত একটি অবস্থা। যখন সর্বত্র সম।
| প্রব্রজ্যা নেবার সময় এই সমভাবই বধমান গ্রহণ করেছিলেন। আজ হতে সর্বত্র আমি সম হব। সুখে দুঃখে, শীতে গ্রীষ্মে, মানে অপমানে।
সাধনার সিদ্ধ যখন সমদর্শনে সাধন অবস্থায় সাধুকে তাই সর্বত্র সমদর্শী হতে হয়। অবহেলা-নিন্দা-তর্জন-তাড়নায় সমান অবিচলিত থাকতে হয়। | বর্ধমান তাই-ই আছেন। সুখ দুঃখ, শীত গ্রীষ্ম, মান অপমান সমস্ত কিছুকে তিনি সমভাবে গ্রহণ করে চলেছেন। তাঁর কায়ে প্রতি যে নেই, না অনুরাগ। প্রতিকূল উপসর্গ উপস্থিত হলেও তাই তিনি তার নিবারণ করেন না বা নিরাকরণ।
কিন্তু সুখ দুঃখের এই বৈপরীত্যকে কি সকলে সমভাবে গ্রহণ করতে পারে। নিদ্বন্দ্ব হতে পারে?
পারে না। কারণ এর জন্য চাই অসীম বল, ধৈর্য ও সাহস। যার ৰল, ধৈর্ব ও সাহস নেই সে এই সংষমতার বহন করতে সমর্থ হয় না।
শীতের দিনে শীতের প্রকোপে সে তেমনি কাতর হয় যেমন কাতর হয় কোনাে রাজ্যভ্রষ্ট ক্ষত্রিয়।
গ্রীষ্মের দিনে তপন তাপে সে তেমনি সতপ্ত হয় যেমন সন্তপ্ত হয়, বল্প লেমীন।