________________
বর্ধমান মহাবীর সংসারে এক ধরনের জীৰ আছে যারা অন্যের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়, তার অনিষ্ট করবার চেষ্টা করে। এই কটপুতও সেই ধরনের। তাই সে যখন বর্ধমানকে ধ্যানের গভীরতায় ডুবে যেতে দেখল তখন সে অকারণ ঈর্ষায় জ্বলে উঠল ও তাঁর ধ্যান ভাঙার জন্য পরিব্রাজিকার রূপ ধারণ করে তার সামনে এসে উপস্থিত হল ও নানা ভাবে নানা প্রলােভনে তার ধ্যান ভাঙাবার চেষ্টা করল। কিন্তু যখন সে তাতে সফলকাম হল না তখন আরও কুক হয়ে মাথার চুল জলে ভিজিয়ে সেই জলকণা তাঁর সর্বাঙ্গে ছিটিয়ে দিতে লাগল।
| সেই শীতল জলকণা বর্ধমানের গায়ে গিয়ে সূচের মত বিদ্ধ হল। কিন্তু বর্ধমান সেই উপসর্গেও বিচলিত হলেন না। যেমন ধ্যানসমাহিত ছিলেন, তেমনি ধ্যান-সমাহিত রইলেন। তাই তিনি লােকাবধিজ্ঞান লাভে সমর্থ হলেন।
লােকাববিজ্ঞানে লােকৰতী সমস্ত পদার্থ হামলবৎ পরিদৃষ্ট
আর কটপুতনা? কটপুতনা তখন পরাজিত ও লজ্জিত হয়ে সেই বৃক্ষ পরিত্যাগ করে অন্যত্র চলে গেল।
কটপুত চলে গেল কিন্তু তার পর পরই এলেন গােশালক। গােশালক একাকী পরিব্রাজন করে সুখ পান নি। তাই আবার ফিরে এসেছেন।
বর্ধমান শালীশীর্ষ হতে এলেন ভদ্দিয়ায়। ভদ্দিয়ায় কঠোর বােগ সাধনায় ষষ্ঠ বর্ষাবাস ব্যতীত করলেন।
বৰাৰাসের পর ভদ্দিয়া হতে বর্ধমান গেলেন মগৰভূমির দিকে। সেখানে দীর্ঘ এক বছর বিচরণ করে বাসের আগ দিয়ে এলেন আতিয়ায়। আলজিয়ায় তিনি সপ্তম ৰাৰাস ব্যতীত