________________
প্রব্রজ্যা
ছিলে তার শেকড় বসে যায়। তাই গাছটি ঠিক সােজা না উঠে একটু কাৎ হয়ে উঠেছে।
| গােশালকের নিয়তিবাদ সম্পর্কে মার -কানাে সংশয় নেই। নিয়তিবশেই মানুষ জন্মগ্রহণ করে, নিয়তিবশেই মৃত্যুবরণ। নিয়তিবশেই মানুষ সংসার পরিভ্রমণ করে। মােক্ষের জন্য তবে বৃথাই কৃচ্ছসাধন। মুক্তি যদি তিনি লাভ করেন তবে তা নিয়তিবশেই লাভ করবেন।
| গােশালকের তখন মনে হল তিনি যদি ওই তেজোলো লাত করতে পারেন আর ভবিষ্যদ্বাণী করবার জন্য সামান্য জ্যোতিষ তবে তিনি এক নূতন ধর্মমতের প্রতিষ্ঠা করতে পারেন ও লােকসমাজে খ্যাতি ও প্রতিপত্তি লাভ করে সুখে বিচরণ করতে পারেন। | গােশালক তখন বর্ধমানের সঙ্গ ত্যাগ করে শ্রাবস্তীতে এসে উপস্থিত হলেন ও সেখানে হালাহলার তাণ্ডশালায় অবস্থান করে বর্ধমান নির্দিষ্ট উপায়ে তেজোলেখা অবিগত করলেন। তারপর পর পর শােণ, কলিন্দ, কর্ণিকার, অচ্ছিদ্র, অগ্নিবেশান ও অজুনের কাছে জ্যোতিষশাস্ত্র শিক্ষা করে সুখ-দুঃখ, লাভ-ক্ষতি, জীবন-মৃত্যু সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করবার ক্ষমতা অর্জন করলেন। এভাবে সিদ্ধবাক হয়ে গােশালক আজীবিক সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠা করলেন ও নিজেকে তীর্থংকর বলে ঘােষণা করে দিলেন। তার প্রধান উপাসিকা ও সহায়িকা হলেন হালাহল।
বর্ধমানও তার তপস্যা ও যােগানে তেলোলো অধিগত করেছেন ও শীতলো ; শলাকাববিজ্ঞানে তিনি সমস্ত বস্তুই প্রত্যক্ষ দেখতে পান। তাই ভবিষ্যদ্বাণী করা তার পক্ষে কিছুই শক্ত নয়। কিন্তু তিনি ত খ্যাতি-প্রতিপত্তি, বিষয়-বৈভৰ এসব কিছু চান না। তাই তাদের প্রয়ােগের কথা ভাবতেই পারেন না। তিনি চান অনুপম শান্তি, অনুপম মুক্তি, অনুপম জ্ঞান, অনুপম চরিত্র। বর্ধমান তাই গােশালক চলে যাবার পর দীর্ঘপথ অতিক্রম করে এলেন বৈশালী। বৈশালী হতে ৰাণিজ্যগ্রাম, বাণিজ্যাম হতে শ্রাবন্তী। শ্রাবন্তীতে তিনি দশম চার্ম ব্যতীত করলেন।