________________
বর্ধমান মহাবীর বর্ধমান সঙ্গে সঙ্গে শীতপেশ্যার প্রয়ােগ করে সেই তেজোলেখাকে ব্যর্থ করে দিলেন।
বৈশ্যায়ন তখন বর্ধমানকে উদ্দেশ করে বলল, এ যাত্রা ও খুব বেঁচে গেল। ও আপনার শিষ্য তা জানতাম না।
গােশালক প্রথমে ও-কথার তাৎপর্যই বুঝতে পারলেন না। তারপর যখন বুঝতে পারলেন তখন এই তেজোলেখা তাকেও পেতে হবে সে কথা তার মনে এল। তিনি তখন বর্ধমানকে কি করে এই তেজোলো লাভ করা যায় সেকথা জিজ্ঞাসা করলেন।
বর্ধমান বললেন, গােশালক, কেউ যদি ছ'মাস এক মুঠো কলাই ও এক আঁজলা গরম জল খেয়ে সূর্যের দিকে মুখ করে তপস্যা করে তবে সে এই তেজোলো লাও করবে।
মাসখানেক পরে কুর্মগ্রাম হয়ে আবার সিদ্ধার্থপুরের দিকেই ফিরছেন বর্ধমান । | গােশালক যেখানে গাছটি তুলে ফেলে দিয়েছিলেন সেখানে আসতেই তাঁর সেকথা মনে পড়ে গেল। তখন তিনি বর্ধমানের দিকে চেয়ে বললেন, ভগ, নিয়তিবাদের সিদ্ধান্ত তা হলে ঠিক নয় আর আপনিও সর্বদশী নন?
বর্ধমান বললেন, কেন গােশালক?
কেন আর কেন? আপনি যে গাছে একটি শুটি ও সাতটি তিল বীজ হবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তা মিথ্যা হয়ে গেছে।
বর্ধমান বললেন, না গােশালক, তুমি যে গাছটি তুলে ফেলে দিয়ে ছিলে সে ওই গাছ। এই গাছে একটিই ৩টি হয়েছে ও সাতটি তিল ৰীজ। বলে তাকে অদূরের একটি গাছ দেখিয়ে দিলেন।
গােশালক নিকটে গিয়ে দেখলেন ঠিক তাই। গাছটি একটু কাত হয়ে উঠেছে। | বর্ধমান বললেন, গােশালক, আমরা চলে যাবার পর পরই এখানে এক পশলা বৃষ্টি হয়। বৃষ্টিতে মাটি কাদা কাদা হয়ে যায়। সেই মাটিতে গরুর পায়ে ফুয়ে চাপে তুমি যে গাছটি তুলে ফেলে দিয়ে