________________
বর্ধমান মহাবীর
তাতেও যখন বর্ধমানের ধ্যানভঙ্গ হল না তখন সংগমক নিজে পিশাচ রূপ ধারণ করে বর্শা দিয়ে তাঁকে বিদ্ধ করল ।
ব্যাঘ্র হয়ে নখর দিয়ে তাঁর শরীর বিদীর্ণ করল ।
তাতেও যখন তাঁকে ধ্যানচ্যুত করতে পারলেন না তখন তিনি ত্রিশলা ও সিদ্ধার্থের রূপ পরিগ্রহ করে তাঁর সামনে এসে বিলাপ করে বলতে লাগলেন, বর্ধমান, তুমি আমাদের বৃদ্ধাবস্থায় কোথায় ফেলে চলে গেলে ? ভেবেছিলাম তুমি আমাদের সেবা করবে, যত্ন নেৰে । তোমাকে নিয়ে আমাদের কত আশা ছিল, কত সাধ । সব আশা নির্মূল হয়ে গেল ।
বর্ধমান সেই উপসর্গেও অবিচলিত রইলেন ।
সংগমক তখন সেখানে এক স্কন্ধাবারের সৃষ্টি করলেন। স্কন্ধাবারের স্তূপকারেরা বর্ধমানের পা দুটোকে উমুন করে অগ্নি প্রজ্বলিত করল । সেই অগ্নি বর্ধমানের সমস্ত শরীর দগ্ধ করল । দগ্ধ হয়েও বর্ধমান পুড়ে গেলেন না। অনলদগ্ধ স্বর্ণের মত তাঁর শরীর আরও কান্তিমান হয়ে উঠল। সেই অনলে বর্ধমানের কর্মরূপী কাষ্ঠসমূহ দগ্ধ হয়ে গেল ।
সংগমক তাঁকে ধ্যানচ্যুত করতে বারবার অসমর্থ হয়ে নিজের কাছে লজ্জিত হলেন কিন্তু অহমিকা বশে নিজের পরাজয় স্বীকার করে নিতে পারলেন না। তাই তিনি নিরস্ত না হয়ে তাঁকে আরও উৎপীড়ন করতে লাগলেন । চণ্ডাল হয়ে তাঁর দেহকে দণ্ডের মত ব্যবহার করে শৃঙ্খলাবদ্ধ নানা ধরনের পাখি তাঁর গায়ে ঝুলিয়ে দিলেন। তারা চঞ্চু ও নখর দিয়ে তাঁর দেহকে বিক্ষত করল ।
তারপর তিনি এক প্রবল বাত্যার সৃষ্টি করলেন। ৰাত্যায় বৃক্ষমূল উৎপাটিত হল, সৌধশ্রেণী ভগ্ন হল। বর্ধমানও কয়েকবার আকাশে উৎক্ষিপ্ত হয়ে ভূতলে পতিত হলেন তবু বর্ধমানের ধ্যানভঙ্গ হল না ।
সংগমক তখন ৰাত্যাবর্তের সৃষ্টি করলেন। বাত্যাবর্তে বৰ্ধমান চক্রের মত ঘুরতে লাগলেন ।
তাতেও যখন বর্ধমানের ধ্যান ভঙ্গ হল না তখন সংগমক ক্রুদ্ধ হয়ে তাঁর ওপর কালচক্র নিক্ষেপ করলেন। কালচক্রের আঘাতে হাঁটু
২