________________
ধুলােবৃষ্টি শান্ত হতেই বক্সের মত তী মুখৰিশিষ্ট পিপড়ের সৃষ্টি করলেন। সেই পি পড়ে তার শরীরের সমস্ত মাংস খুটে খুটে খেল।
তারপর তিনি মশকের সৃষ্টি করলেন। তারা বর্ধমানের শরীরে দংশন করে রক্তপান করল। সেই সময় তাঁর শরীর হতে দুগ্ধধারার মত যে রক্তধারা প্রবাহিত হল তাতে তাকে মনে হল যেন এস্রবণযুক্ত এক গিরিরাজ ধ্যান সমাহিত রয়েছেন।
মশকের উৎপাত শান্ত হতে না হতেই তিনি সহস্র উই-এর সৃষ্টি করলেন। তারা তাঁর সর্বাঙ্গ আচ্ছন্ন করে দংশন করল। দেখে মনে হল, কে যেন তাঁর গায়ে কদম্ব কেশরের মত কেশর ফুটিয়ে দিয়ে গেছে।
তারপর তিনি ভয়ঙ্কর বিছের সৃষ্টি করলেন যার বিষ মত্ত মাতঙ্গেরও প্রাণ হরণ করে। তার বর্ধমানের সর্বাঙ্গ দংশন করে ফিল।
বর্ধমানের যখন তাতেও ধ্যানভঙ্গ হল না। তখন সংগমক নেউলের সৃষ্টি করলেন। তারা বিকট চীৎকার করতে করতে তাঁর দিকে ছুটে গেল ও তাঁর দেহ হতে মাংসখণ্ড টেনে টেনে ছিড়তে লাগল।
| নেউলের পর তিনি সাপের সৃষ্টি করলেন। তারা তার দেহ বেষ্টন করে দংশন করল। ততক্ষণ দংশন করল যতক্ষণ না নির্বিষ হয়ে তারা তাঁর দেহ হতে বিশ্লিষ্ট হয়ে মাটিতে পড়ে গেল।
তারপর তিনি তীক্ষ্ণদংষ্ট্রা মূষিকের সৃষ্টি করলেন। তারা তার দেহকে দীর্ণ চীবরের মতাে ছিন্নভিন্ন করল।
মূষিকে নিরস্ত হলে তিনি দীর্ঘদন্ত হীদের সৃষ্টি করলেন। তারা তাঁর আয়ত বুকে সেই দন্ত দিয়ে আঘাত করল। সেই আঘাতে তাঁর বক্ষাস্থি হতে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ নির্গত হল কিন্তু তবু তাঁর ধ্যান ভঙ্গ হল না।
সংগম তখন হস্তিনীদের সৃষ্টি করলেন। তারা তাঁর দেহ নিয়ে কন্দুকের মত লােফালুকি করল।