________________
বৈনের যখন বােষর মত বয়স হল তখন গােশমী তাকে সমস্ত কথা খুলে বলল। তারপর তার হাতের কবচে আঁকা মার মুখের ছবি দেখিয়ে বলল এই তােমার সত্যিকার মা। কিন্তু বৈায়নের নিজের মার কথা তেমন মনে পড়ে না।
ৰৈত্যয়ন আয়ও বড় হয়ে উঠল। তারপর কোনাে কার্বোপলক্ষে একবার চম্পানগরীতে এল। সেখানে সে বয়স্যদের সঙ্গে পড়ে এক গণিকালয়ে গেল।
গণিকালয়ে যে তার পরিচর্যা করতে এল বৈশ্যায়ন দেখল তার মুখের সঙ্গে কৰচে আঁকা মায়ের মুখের হবহু মিল।
বৈশ্যায়ন তখন তাকে তার পরিচয় জিজ্ঞাসা করল। কিন্তু সে তাকে তার কি পরিচয় দেবে! শেষে বৈশ্যায়নের আগ্রহাতিশয্যে ডাকাতেরা যে ভাবে তার স্বামীকে হত্যা করে তাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল সেকথা খুলে বলল। শেষে চম্পানগরীর এক গণিকার কাছে তারা তাকে বিক্রয় করে দেয়। সেই হতে সে এখানে আছে।
সে কথা শুনে বৈশ্যায়ন তাকে নিজের পরিচয় দিল।
ৰৈত্যায়নের মা তখন লজ্জায় দুঃখে আত্মহত্যা করতে গেলেন। কিন্তু বৈশ্যয়ন তঁাকে আত্মহত্যা হতে নিবৃত্ত করে সেই গণিকার কাছ হতে পুনরায় ক্রয় করে নিল ও সদ্গুরুর কাছে নিয়ে গিয়ে প্রণাম দীক্ষা দেওয়াল। বৈশ্যায়ন নিজেও এই ঘটনায় সংসার বিরক্ত হয়ে প্রাণায়াম দীক্ষা নিয়ে সন্ন্যাসী হয়ে গেল।
গােশালকের বাৰু-সংষম কোনো কালেই ছিল না। তাই বৈশ্যায়নকে দেখিয়ে দেখিয়ে সে বর্ধমানকে বলতে লাগল, দেৰাৰ, এ মাম্য না পিশাচ।
সে কথা বৈশ্বায়নের কানে গেল। বৈশ্যায়ন প্রথমে তা উপেক্ষায় ভাবে গ্রহণ করল কিন্তু শেষে কু হয়ে উঠল। ক্রুদ্ধ হয়ে সে তার তপস্যাল ভেদোলে গােশালকের ওপর প্রয়ােগ করল।
তেতােলেতায় এনে দাহ হয় তার মৃত্যু।