________________
बका
বর্ষাবাস ব্যতীত করে আলংভিয়া হতে বর্ধমান এলেন কুক সন্নিবেশ। কুণ্ডা হতে মম। মন্দ হতে বহুলগ। বসালগ হতে লােহল।
লােহলায় তখন জীতশত্রু রাজত্ব করেন।
যদিও মাজার নাম জীতশত্রু তবু তার শত্রুর অভাব ছিল না। সম্প্রতি প্রতিবেশী এক শক্তিশালী রাষ্ট্রের লােলুপ দৃষ্টি পড়েছে তাঁর রাজ্যের ওপর। প্রহরীরা তাই সদা সতর্ক। অপরিচিত কাউকে নগরে প্রবেশ করতে দেয় না। প্রবেশ করবার চেষ্টা করলে বন্দী করে রাজার কাছে উপস্থিত করে।
বর্ধমান ও গােশালকও তাই নগরে প্রবেশ করতে গিয়ে প্রহরীদের হাতে বন্দী হলেন। প্রহরীরা তাঁদের রাজসভায় উপস্থিত করল।
সেই সময় রাজসভায় উপস্থিত ছিলেন অস্থিক গ্রামের উৎপল। উৎপল বর্ধমানকে দেখা মাত্রই চিনতে পারলেন ও উঠে এসে তাঁকে প্রণাম করে জীতশত্রুকে তাদের মুক্ত করে দিতে বললেন। বললেন, এরা গুপ্তচর নন। ইনি ক্ষত্রিয়-কুণ্ডপুরের রাজপুত্র ও ভাবী তীর্থংকর।
সে কথা শুনে জীতশত্রু তখনি তাদের মুক্ত করে দিলেন ও প্রহরীদের অজ্ঞনকৃত অপরাধের জন্য ক্ষমা ভিক্ষা চেয়ে নিলেন।
লােহগল হতে বর্ধমান এলেন পুরীমতাল, যে পুরীমতালে গঙ্গা ও যমুনার সঙ্গমের নিকটবর্তী শকটমুখ উদ্যানে আদিকর ভগবান ঋষভদেৰ কেৰল-জ্ঞান ও কেবল-দর্শন লাভ করেছিলেন।
পুরীমতাল ও শকটমুখ উদ্যান তাই বর্ধমানের কাছেও তীর্থক্ষেত্র। এই শকটমুখ উদ্যানেই না তিনি মরীচি জীবনে প্রথম শ্রমণ দীক্ষা গ্রহণ করেন। বর্ধমান তাই শকটমুখ উদ্যানে গিয়ে এক বৃক্ষতলে খ্যানস্থিত হলেন।
এই পুরীমতালে থাকেন শ্রেষ্ঠী ৰগর। বগম সেদিন শকটমুখ উজানে তগৰান মীনাথের মন্দিরে পুজো দিতে এসেছেন। বগ ও উদ্যানে প্রবেশ করেই বর্ধমানকে দেখতে পেলেন।