________________
বর্ধমান মহাবীর কুকুরেরা তাঁদের ওপর উৎপতিত হত, দংশন করত। কুকুরের আক্রমণ হতে কেউ তাঁদের রক্ষা কর না বরং চুচু শব্দ করে আরও লেলিয়ে দিত।
রাঢ়দেশের গ্রামগুলি দূরে দূরে অবস্থিত ছিল, তাই রাত্রিতে অবস্থানের জন্য প্রায়ই গ্রাম পর্যন্ত পৌছতে পারতেন না। পেছলে গ্রামবাসীরা গ্রামে তাঁদের প্রবেশ করতে দিত না। প্রহার করে গ্রাম হতে দূর করে দিত। কখনাে ঢিল, কখনাে নরকপাল, কখনাে কলসীর কানা ছুড়ে মারত। কখনাে ঠেলে ফেলে দিত। কখনাে ৰা ওপরে তুলে নীচে গড়িয়ে দিত। বুকের ওপর বসে মাথার চুল ছিড়ে নিত। গায়ে মুখে ধুলােবালি ছড়িয়ে দিত। শরীর হতে মাংস কেটে নিত। শরীরের প্রতি মমত্বহীন তাঁরা এসব অত্যাচার বিনম্ৰতাৰে সহ করতেন।
সহ্য করবার জন্যই ত বর্ধমান ব্রাত্য, অন্ত্যজ, দ্যভূমিষ্ঠ রাঢ়এদেশে এসেছেন।
স্বর্ণ ততই উজ্জ্বল হয়ে ওঠে যতই তাকে দন্ধ করা যায়। বর্ধমান তেমনি এই সমস্ত দুঃখকষ্ট সহ্য করে কর্ম নির্জয়ার ভেতর দিয়ে আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছেন। আরও প্রদীপ্ত।
অনার্যদেশ পরিভ্রমণ তখনও তাদের শেষ হয়নি। এমন সময় নেমে এল বর্ষা। ঘন কৃষ্ণ বর্ষা।
বর্ধমান তাই অনার্যদেশ পরিত্যাগ করে ফিরে এলেন আর্যদেশের পরিধিতে। পঞ্চম বর্ষাবাস তিনি ভদ্দিয়া নগরীতে ব্যতীত করবেন।
মলয়দেশের রাজধানী এই ভদ্দিয়া। এই চাতুর্মান্যেও মান আহার গ্রহণ করলেন না। মােগানুষ্ঠান ও ধ্যান সমাহিতিতেই সমস্ত সময় অতিবাহিত করলেন।
ঘরের ভেতর কে ? আমরা এমন—গােশালক তের হতে এর দিলেন।