________________
বর্ধমান মহাবীর যখন ধ্যানস্থিত ছিলেন তখন গ্রামপতির পুত্র সেখানে এক ক্রীতদাসীর সঙ্গে কামােপভােগে নিরত হলে তাকে নিবৃত করতে গিয়ে যে ভাবে তিনি তিরস্কৃত হয়েছিলেন। আর আজ?
বাতাসের মুখে গাছের পাতা যেমন থরথর করে কাঁপে গােশালক তেমনি থরথর করে কাঁপছিলেন। তাঁর সেই দুরবস্থা দেখে দরিদ্দথেরাদের মধ্যে যারা একটু বয়স্ক, বয়সে প্রবীণ, ভঁয়া গােশালককে ভেতরে ডেকে নিলেন। বাজনাদারদের বললেন, তােরা আরও একটু জোরে জোরে বাজা যাতে ও কিছু বললে কারু কানে না যায়।
| গােশালকের আর কোনাে কথা বলবারই ইচ্ছে ছিল না। তাই দেবায়তনের এক কোণে গিয়ে চুপ করে বসে রইলেন।
পরদিন সূর্যোদয় হতেই বর্ধমান শ্রাবন্তীর পথ নিলেন। কিন্তু শ্রাবস্তীতে এসে নগরে প্রবেশ করলেন না, নগরের বাইরেই অবস্থান করলেন।
তার পরদিন সেখান হতে চলে গেলেন হল্লিদুয় গ্রামে। সেই গ্রামের বাইরে হলিগ নামে এক বিশাল মহীরুহ ছিল। সেই মহীরুহের তলায় সেদিন তারা রাত্রি যাপন করলেন।
শ্রাবস্তী যাবার মুখে একদল সার্থবাহও সেদিন সেই গাছের তলায় রাত্রি যাপন করেছে। গভীর রাতে শীতের তীব্রতার জন্যই তারা লতাপাতা একত্রিত করে অগ্নি প্রজ্বলিত করল। তারপর সেই আগুনের চারদিকে বসে তারা রাত্রি অতিবাহিত করল।
পরদিন সকাল হতেই তারা যে যার মতাে উঠে চলে গেল। সেই আগুন নেভাবার কথা একেবারেই ভুলে গেল।
ভুলে গেল তাই সেই আগুন শুকনাে ঘাসে ঘরে গিয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল। শেষে বর্ধমান যেখানে কায়ােৎসর্গ ধ্যানে পঁড়িয়ে ছিলেন সেখানে পর্যন্ত বিস্তৃত হল। গােশালক তখন নিকটে ছিলেন
আর বর্ধমানেরও বাহ সৰীতি ছিল না। তাই সেই আগুন বর্ধমানের পা দুটো ঝলসে দিল।
কিন্তু বর্ধমানের সেদিকে ক্ৰক্ষেপ নেই। দেহকে দেহ ৰলে তিনি