________________
বর্ধমান মহাবীর
তোমরা চেন না? ইনি ক্ষত্রিয়-কুণ্ডপুরের রাজপুত্র। প্রব্রজ্যা নিয়ে এখন সর্বত্র বিচরণ করে বেড়াচ্ছেন ছদ্মস্থ অবস্থায়। এঁর আত্মিক শক্তি অপরিসীম। তাই শীঘ্র এদের মুক্ত করে এঁর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা কর ।
আরক্ষকেরা তখন ভয় পেয়ে তাঁদের বন্ধন মুক্ত করে দিয়ে বৰ্ধমানকে বলল, দেবাৰ্য, আপনি কে তা না জেনে আপনাদের ওপর আমরা অত্যাচার করেছি। আমাদের অজ্ঞানকৃত এই অপরাধ আপনি ক্ষমা করুন।
বর্ধমানের অবশ্য ক্ষমা করবার কিছু ছিল না। ক্রুদ্ধ হলে তবেই ত ক্ষমা । বর্ধমান ক্রুদ্ধই হন নি ।
বর্ধমান এখন সর্বত্র সর্বদা ক্ষমা ভাব অর্জন করেছেন । তাই সকলের প্রতি তাঁর মৈত্রী ভাব । এমন কি যে তাঁকে নির্যাতন করছে তার প্রতিও।
৬৪
তবুও হাত তুলে তাদেরকে আশ্বস্ত করে বর্ধমান পৃষ্ঠচম্পার পঞ্চ নিলেন ।
পৃষ্ঠচম্পাতেই বর্ধমান যাপন করলেন তাঁর প্রব্রজ্যা জীবনের চতুর্থ বর্ষাবাস ।
এবারের চাতুর্যাস্যে বর্ধমান একদিনও আহার গ্রহণ করলেন না। ৰীৱাসনে নিরবচ্ছিন্ন ধ্যানে নিশিদিন অতিবাহিত করলেন । চাতুর্মাস্য শেষ হতে পৃষ্ঠচম্পা হতে তাঁরা এলেন কয় গলায় । কয়ংগলায় থাকেন দরিদ্দণেরা পাষণ্ডীরা। তাঁরা সপত্নীক, সারম্ভী ও সপরিগ্রহী।
বর্ধমান তাঁদের দেবায়তনে সেদিন আশ্রয় নিয়েছেন।
দরিদ্দণেরাদের সেদিন রাত্রে কি একটা উৎসব ছিল ও সেই উপলক্ষে রাত্রি জাগরণ । সেজন্য তাদের সকলে সেই দেবায়তনে
সমবেত হয়েছে।
শুধু সমবেত হওয়াই নয়। এক নৃত্য গীতের আয়োজন করেছে। ধর্ম ধ্যানের মধ্য দিয়ে রাত্রি জাগরণের চাইতে নৃত্য গীতের ভেতর দিয়ে রাত্রি জাগরণ অনেক বেশী সহজ।