________________
বর্ধমান মহাবীর
বর্ধমান কোথাও স্থিত হন না। তাই পরদিন সকালেই চলে এলেন চোরাক সন্নিবেশ ।
७2
বর্ধমান চোরাকে প্রবেশ করতে যাবেন। প্রবেশ পথে আরক্ষকেরা তাঁদের বাধা দিল। জিজ্ঞাসা করল, তোমরা কে ?
বর্ধমানের মৌন ছিল তাই কোনো প্রত্যুত্তর দিলেন না। তাছাড়া তাঁদের কিই-বা পরিচয় ? পূর্বাশ্রম তাঁরা পরিত্যাগ করে এসেছেন । এখন কেবল শ্রমণ, পরিব্রাজক। গোশালক সেই কথাই বললেন । বললেন, নগরে প্রবেশের কি কোনো ৰাধা আছে ?
আরক্ষকেরা গোশালকের সেই প্রত্যুত্তরে তুষ্ট হল না । এক, গোশালকের কথা বলার এই বিশেষ ভঙ্গী। দুই, চোরাকের সঙ্গে প্রতিবেশী এক রাষ্ট্রের তখন যুদ্ধ বাধবার উপক্রম হয়েছে। গুপ্তচরেরা নানাভাবে তাই সংবাদ সংগ্রহ করতে আসছে । আর সাধু শ্রমণের বেশে আসাই ত সবচেয়ে নিরাপদ ।
তাই বার বার প্রশ্ন করেও যখন আরক্ষকেরা সন্তোষজনক কোনো প্রত্যুত্তর পেল না তখন তাঁদের ধৃত করে আরক্ষালয়ে নিয়ে গেল ।
বর্ধমান তাই চান। পরিবেশ যত প্রতিকূল হবে, তাঁরা ৰত ৰাধা বিপত্তির সম্মুখীন হবেন, কর্ম নির্জরা ততই সহজ হবে ।
আরক্ষালয়ে প্রকৃত তথ্য জানবার জন্য আরক্ষকেরা তাঁদের ওপর অত্যাচারে প্রবৃত্ত হল। বর্ধমান সে সব অত্যাচার সহ্য করেও যেমন চুপ করে ছিলেন তেমনি চুপ করে রইলেন। গোশালকও শেষে প্রত্যুত্তর দেওয়া হতে নিবৃত্ত হলেন । এতে তাঁরা যে গুপ্তচর সে সম্বন্ধে আরক্ষকদের আর কোনো সন্দেহই রইল না। তারা তখন তাঁদেরকে আরও উৎপীড়ন করতে প্রবৃত্ত হল ।
অনেকদিন পরের কথা। গৌতম বৰ্ধমানকে জিজ্ঞাসা করছেন, ভগৰন্, নির্বেদে জীৰ কি উপসর্জন করে ?
নির্বেদে সে সমস্ত রকম সুখভোগে উদাসীনতাকে প্রাপ্ত হয় ।