________________
বর্ধমান মহাবীর তঁান্নাও তখন কুমান্নাকে এসে কুণয় কামারের কর্মশালায় অবস্থান করছিলেন।
মুনিচন্দ্র ভগবান পানাথের শিষ্যসম্প্রদায়ের এক আচার্য ছিলেন। এদের বস্ত্র ও পাত্ৰাদি রাখা সম্বন্ধে কোনো বিধিনিষেধ ছিল না। তাই এয়া নানা বর্ণের বস্ত্র পরিধান করতেন ও ভিক্ষাচর্যার জন্য পাত্রদি উপকরণ বহন করতেন।
গােশালকের দৃষ্টি দেয় বিচিত্র বেশ ও পাত্ৰাদি উপকরণের দিকে আকৃষ্ট হয়েছে। তিনি কৌতূহলী হয়ে তাদের তাই জিজ্ঞাসা করলেন, আপনারা কে ?
আমরা ভগবান পার্শ্বনাথের শিষসম্প্রদায়ভুক্ত শ্ৰমণ নিগ্রন্থ। নিগ্রন্থ?
গােশালক মনে মনে ভাবলেন, যাদের এত এত বস্ত্রাদির উপকরণ তারা কেমন নিগ্রন্থ?
গােশালকে যদি বাক সংষম থাকত তবে তিনি সেকথা তাদের বলতেন না। কিন্তু গােশালকের বাক সংষম ছিল না। তাই সেকথা তঁাদের মুখের ওপর বলে বসলেন। বললেন, নি ? এত এত বস্ত্র ও পাত্ৰাদি উপকরণ থাকতে আপনারা কেমন নিগ্রন্থ? সত্যকায় নিগ্রন্থ ত আমার আচার্য যার গায়ে একফালি সুতােও নেই, না সঙ্গে ভিক্ষার কাষ্ঠপাত্র। তিনি ত্যাগ এবং তপস্যার প্রতিমূর্তি। | নগ্ন গােশালকের দিকে চেয়ে মুনিচন্দ্র স্থবিয়ের শিষ্যরা নিজেদের মধ্যে কি যেন বলাবলি করলেন। তারপর বললেন, তােমার মত স্বয়ংগৃহীত ফি হবেন হয়ত তােমার গুরু।
বর্ধমানের নিন্দায় গােশালকে রাগ হল। তিনি গায়ে পড়ে তাদের সঙ্গে ঝগড়া করলেন। শেষে তাঁদের অবস্থান স্থান অগ্নিদগ্ধ হােক বলে অভিশাপ দিয়ে প্রতিনিবৃত্ত হলেন।
তােমার মত লােকের কথায় আমাদের অবস্থান স্থান দগ্ধ হয় না বলে মুনিচত্র বিয়ের শিষ্যরাও নিজেদের পথ নিলেন।
চশ মণীয় উদ্যানে ফিরে এসেই গােশাল মানের কাছে