________________
বর্ধমান মহাবীর | সৌভাগ্যবশত গােশালকও কোল্লাগের পথ নিলেন। তাই কিছুদূর যেতে না যেতেই তিনি পথে এক মহামুনির কথা শুনতে পেলেন। গােশালকে তখন বুঝতে বাকী রইল না যে এই মহামুনিই বর্ধমান ও তিনি এখন কোল্লাগে অবস্থান করছেন।
গােশালক তার সন্ধানে যেই নগরে প্রবেশ করতে যাবেন অমনি বর্ধমানের সঙ্গে পথের ওপরই তার দেখা হয়ে গেল। গােশালক তখন তাকে প্রণাম করে বললেন, ভগব, এই দীন আপনার শিষ। তাকে গ্রহণ করুন।
বর্ধমান তাকে স্বীকার করে নিলেন। বললেন, গােশালক তােমার যেমন অভিরুচি।
কোল্লাগ হতে গােশালকসহ সুবর্ণখলের দিকে চলেছেন বর্ধমান।
আভীর পল্লীর মধ্যে দিয়ে পথ। সেই পথের ধারে একখানে প্রকাণ্ড এক মহীরুহের তলায় মাটির হাঁড়িতে অভীরেরা দুধ জ্বাল দিচ্ছিল। দুধ ক্ষীর হবে।
গােশালক তাই দেখে সেইখানেই দাড়িয়ে পড়লেন। বর্ধমানের দিকে চেয়ে বললেন, দে, এবেলা এখানে অবস্থান করলে হয় না? তা হলে ভিক্ষেটা এখানেই হয়ে যায়।
শুনে বর্ধমান বললেন, না গােশালক। জিহবার বসলােলুপতা শ্ৰমণ জীবনের বাধক। তাই আমি এখানে অবস্থান করব না। এগিয়ে যাব। তা ছাড়া
তা ছাড়া এই দুধ শেষ পর্যন্ত দীর হবে না। কর হবে না।
, গােশালক। তৰে দেৰাৰ, আপনি এগিয়ে যান। আমি শেষপর্যন্ত দেখে আসৰ ।
বর্ধমান তাই এগিয়ে গেলেন। আর গােশালক সেইখানে রয়ে গেলেন। তিনি দেখবেন যা হবার তাই হয় কিনা। দুধ কিতাৰে শীর না হয়ে নষ্ট হয়ে যায়।