________________
প্রব্রজ্যা তার কোনাে বিষয়েই আসক্তি থাকে না। সে তখন সবার পরিত্যাগী হয়ে মােক্ষমার্গ অবলম্বন করে।
বর্ধমান সেই মাের্গ অবলম্বন করেছেন। কোনােরকম সুখভােগে তাই তার ইচ্ছা নেই। তিনি কাম, ক্রোধ, লােভ ও মােহরূপ কষায় জয় করে প্রিয় অপ্রিয় শব্দ-স্পর্শ-রূপ-রস-গন্ধ সম্বন্ধে সম্পূর্ণ উদাসীন হয়েছেন।
উদাসীন হয়েছেন তাই যখন কোমরে দড়ি বেঁধে আৰক্ষকেরা তঁাকে কুয়াের ভেতর নামিয়ে দিয়েছে তখনাে তিনি প্রশান্তমনা।
আৰক্ষকেরা তাঁকে একবার জলের মধ্যে চুবিয়ে দিচ্ছে আবার ওপরে টেনে তুলছে ও বলছে-বল, এখনাে বল, তাের গুপ্তচর কিনা?
গুপ্তচরদের সাজা দেওয়া হচ্ছে সে-খবর ততক্ষণে সবখানে ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের সাজা দেখবার জন্য আৰক্ষালয়ে মানুষের ভিড় জমে উঠেছে। কেউ বলছে, কেমন টীট, ধরা পড়েও স্বীকার পাচ্ছে
। কেউ বলছে, কি জানি হতে পারে সত্যিকার শ্রমণ। ধরা পড়ে অষথা নির্যাতন সহ্য করছে।
সেই সময় সেই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন সাধ্বী জয়ন্তী ও সােমা।
জয়ন্তী ও সােমা অশ্বিক গ্রামের নৈমিত্তিক উৎপলের বােন। সাধ্বীধর্ম গ্রহণ করে প্রত্ৰন করতে করতে তারা চোৱাকে এসে আছেন কয়েক দিন।
আয়ক্ষালয়ের পাশে মানুষের ভিড় দেখে তারাও সেদিকে এগিয়ে গেলেন। তারপর সমস্ত শুনে অপরাধীদের জল হতে টেনে তুলতে বললেন।
জয়ন্তী ও সােমাকে শ্রদ্ধা করে আরক্ষকেরা। তাই তাঁদের কথায় তারা বর্ধমানকে কুয়াের ভেতর হতে টেনে তুলল।
জয়ন্তী ও সােমা বর্ধমানকে একবার দেখেছিলেন শূলপাণি যক্ষায়তনে। তাই দেখা মাত্রই তাঁকে চিনতে পারলেন। তখন আরকদের দিকে চেয়ে বললেন, এ কি করে তােম। একে কী