________________
প্রত্যা সমস্ত কথা নিবেদন করলেন। বললেন, ভগ, আজ সার ও সপরিগ্রহী এমণদের সঙ্গে দেখা হল। তাঁদের সঙ্গে আমার স্বাদও হয়েছে।
| বর্ধমান বললেন, হাঁ গােশালক, ভঁৰা ভগবান পার্শ্বনাথের পূজ্য শিষ্য সম্প্রদায়ভুক্ত। তাঁদের সঙ্গে বাদ করে তুমি ভালাে করে নি।
বর্ধমান ৰােধ হয় এই জন্যই তীর্থংকর জীবনে তরুণ শিক্ষার্থী শিষ্যদের বিনয় শিক্ষা দিতে বলেছিলেন।
অন্যের দুঃখদায়ী কর্কশ ভাষা সত্য হলেও কখনাে উচ্চারণ করবে না।
এতে নিজের মনের সমভাবই যে নষ্ট হয় তা নয়, অন্যের মনেও দ্বেষ ও বৈরভাবের সৃষ্টি করে।
এইজন্যই বােধ হয় সম্যকত্ব প্রয়াসী সাধুকে প্রশান্তমনা, সংযতবাক ও অবগত হতে হয়।
রাত্রির তখন দ্বিতীয় নাম। গােশালক সবে মাত্র শয্যা গ্রহণ করেছেন। এমন সময় দূরে নগরের দিক হতে—যেদিকে কুবণয় কামারের বাড়ী ছিল সেদিক হতে একটা আলাের প্রকাশের মত দেখা গেল। সেই আলাে ক্রমশই ওপরের দিকে উঠতে লাগল।
গােশালক সেই আলাে দেখে উঠে বসলেন। উল্লসিত হয়ে উঠলেন। ভাবলেন এতক্ষণে তাহলে তাঁর অভিশাপটা সফল হল। সায়ী ও সপরিগ্রহী শ্ৰমণদের উপায় নিশ্চয়ই দগ্ধ হচ্ছে।
বর্ধমানকে সে কথা জিজ্ঞাসা করতেই বর্ধমান বললেন, না, গােশালক, এইমাত্র পার্শ্বপত্য শ্রমণ মুনিচন্দ্র স্থবিরের দেহাবসান হল। তুমি যে আলাের প্রকাশ দেখেছ সে তার আত্মার উজাতির প্রকাশ। | গােশালক আর এ করলেন, তগৰ, তিনি ত অসুস্থ ছিলেন না; তৰে সহসা কি করে তাঁর দেহাবসান হল।
ৰমান বলেন, গােলক, মুনি হুৰিয় কর্মশালায় কায়োৎসর্গ ধ্যানে একপাশে দাড়িয়েছিলেন। কুৰণয় অত্যধিক মদ্যপান করে এলে চেলমে তাঁর গলা টিপে ধয়েছিল। তাইতেই তাঁর মৃত্যু।