________________
প্রব্রজ্যা
গােশালক সেখানে শুধু অবস্থানই করলেন না, জাতীয়দের সতর্ক করে দিলেন। বললেন, ওই মহাত্মা বলে গেলেন, এই দুধ ক্ষীর হবে না।
শুনে আভীমেরা হাসল। বলল, দুধ কিভাবে কী হবে তা তাদের জানার কথা, মহাত্মার নয়।
কিন্তু বর্ধমানের কথাই সত্যি হল। আগুনের তাপে সেই হাঁড়ি এক সময় কী করে কেটে গেল। ফেটে গিয়ে সমস্ত দুধ আগুনে পড়ে গেল। | দুধ আগুনে পড়তেই গােশালক বর্ধমান যেদিকে গিয়েছিলেন সেই দিকে তাড়াতাড়ি পা ফেলে এগিয়ে গেলেন। মনে মনে বললেন, নিয়তিকে কেউ ঠেকাতে পারে না। তার বিধান অনতিকমণীয়।
সুবর্ণখল হতে বর্ধমান এলেন ব্রাহ্মণগ্রামে সেখানে ভিক্ষায় পযুষিত অল্প পেলেন। অদীন মনে তাই গ্রহণ করলেন। তারপর নানাদেশ পরিভ্রমণ করে বর্ষাবাসের আগ দিয়ে এলেন চম্পায়।
চপা সেকালে অঙ্গ দেশের রাজধানী ছিল। বর্ধমান চম্পায় এবার বর্ষাবাস ব্যতীত করবেন। তৃতীয় বর্ষাবাস। এই বর্ষাবাসে তিনি দু'মাস পরপর মাত্র দু’বার অল্পগ্রহণ করলেন।
বর্ষাবাস শেষ হতে চম্পা পরিত্যাগ করে বর্ধমান এলেন কালায় সমিশে। সেখানে একরাত্রি অবস্থান করে পরদিন সকালে চলে গেলেন পত্তকালয়। পত্তকালয় হতে কুমাৱাক সন্নিবেশে। কুমারী সমিৰেশ চরমণীয় উদ্যানে তাঁরা স্থিত হলেন।
কুমারীকে সেদিন ভিক্ষাচর্যায় গেছেন গােশালক। হঠাৎ পথে মাঝখানে গয় দেখা হয়ে গেল মুনিচক্র বিয়ের শিষ্যদের সঙ্গে।