________________
বর্ধমান মহাবীর
নিয়তিবাদী ছিলেন—অর্থাৎ যা ঘটেছে তা নিয়তির জন্মই। নিরতিতে
যা লেখা রয়েছে তা না হয়ে যায় না। মানুষ যা ঘটবার তা রোধ করতে পারে না ।
কর্মফলে বিশ্বাস এক, নিয়তিবাদ আর । মানুষ যেমন কর্ম করে তার ফল ভোগ তাকে করতে হয়, ইহজীবনে নয়ত পরজীবনে । কিন্তু কি ধরনের কর্ম সে করবে তা তার ইচ্ছাধীন। সেই পুরুষকার । যা হবার হবে বলে নিশ্চেষ্ট হয়ে বসে থাকা নয়, প্রতিনিয়ত নিজেকে সৎপথে নেবার জন্য চারিত্রের নির্মাণ। পুরুষকারকে যদি স্বীকার না করি তবে কোনো সাধনাই হয় না। বর্ধমান কর্মফলে বিশ্বাস করেন কিন্তু তার চাইতেও বেশী বিশ্বাস করেন পুরুষকারে। ৰলেন, ৰাৱৰাৰ প্রয়াস করো। কারণ প্রয়াসের পতন-অভ্যুদয়-বন্ধুর-পন্থার মধ্যে দিয়ে না গিয়ে কে কবে আত্মজ্ঞান লাভ করেছে ? লুপ্ত সিংহের মুখে কি হরিণ আপনা হতেই এসে প্রবেশ করে ?
কিন্তু বর্ধমানের সম্পর্কে এসে কোথায় গোশালকের নিয়তিবাদ নষ্ট হয়ে যাবে, তা না হয়ে সেই নিয়তিবাদই যেন আরও একটু দৃঢ় হল ।
৬
.
পুরুষকার কথার কথা মাত্র।
কার্তিক মাসের পুর্ণিমা। গোশালক ভিক্ষাচর্যায় চলেছেন। যাবার সময় বর্ধমানকে জিজ্ঞাসা করলেন, ভগবন্, আজ ভিক্ষাচর্যায় আমি কি পাৰ ?
বর্ধমান বললেন, কজৰ চালের বাসি ভাত, টক খোল ও অচল মুদ্রা। কদ্রব এক ধরনের নিকৃষ্ট চাল।
গোপালকের সেকথা বিশ্বাস হল না। তা ছাড়া তাঁর মনের ইচ্ছা বৰ্ধমানকে একটু যাচাই করা। সেই সঙ্গে নিয়তিবাদকেও। নিম্নতিতে যদি ভাই থাকে তৰে তাই তিনি পাবেন। বর্ধমানের কথাও সত্য হবে। কিন্তু এর অন্যথা করবার চেষ্টাই তিনি করবেন। তাই ভেৰে ভেৰে সেদিন তিনি ভিঙ্কার ধনী শ্রেষ্ঠী পাড়ার দিকে গেলেন ।
ধনী শ্রেষ্ঠী পাড়ায় সেদিন গোশালক ভিক্ষা পেলেন না ।