________________
বর্ধমান মহাবীর
নৈরাশ্য তার সামুদ্রিক শাস্ত্রই যে মিথ্যা হয়ে গেল তার জন্য। যাক্ষ রাজচক্রবর্তী রাজা হবার কথা সে কিনা দীন, পথের ভিক্ষুক ।
যে শাস্ত্র মিথ্যা সে শাস্ত্র ঘরে রেখে লাভ কি ?
পুষ্য তাই ঘরে ফিরে গেল ও তার আজীবন সঞ্চিত গ্ৰন্থ গুলো একে একে টেনে এনে আগুনে ফেলতে লাগল ।
€8
পুষ্যের স্ত্রী স্বামীর কাণ্ড দেখে বলল, তুমি কি পাগল হয়ে গেলে ? পুণ্য তখন সমস্ত কথা খুলে বলল। বলল, যে শাস্ত্র মিথ্যা তাতে তার প্রয়োজন নেই ।
সমস্ত শুনে পুষ্যের স্ত্রী বলল, যে লক্ষণ রাজচক্রবর্তীর সে লক্ষণ ত তীর্থংকরেরও। উনি হয়ত ভাবী তীর্থংকর ।
পুষ্য সেকথা শুনে গ্রন্থ গুলো আগুনে ফেলা হতে নিরস্ত হল। দগ্ধ গ্রন্থের জন্য তার চিত্ত তখন অনুশোচনায় ভরে উঠল। ভাবল, এ কথা তার প্রথমেই কেন মনে হয়নি !
খামুক হতে বর্ধমান এলেন রাজগৃহে। কিন্তু রাজধানীতে তিনি অবস্থান করলেন না । চলে এলেন বাহিরিকা নালন্দায়। সেখানে এক তন্তুবায়শালায় আশ্রয় নিলেন।
নালন্দা সেদিন ইতিহাসের সেই বিশ্ববিশ্রুত খ্যাতি অর্জন করেনি। সেদিন তা ছিল মগধের রাজধানী রাজগৃহের শাখাপুর মাত্র । আজকের পরিভাষায় উপনগর। তবু নালন্দায় আর এক ধরনের খ্যাতি ছিল। সূত্র ক্বতাঙ্গে লেখা রয়েছে অর্থীদের যা যথেপ্সিত দান করে তাই নালন্দা ।
তাই নালন্দায় বর্ষাবাস করবার জন্য অন্য তীকি সাধু সন্ন্যাসীরাও এসে থাকেন ।
সেই তন্তুবায়শালায় এসে আছেন আর একজন নবীন শ্ৰমণ । নাম গোশালক । মংখলীপুত্র বলেও তিনি আবার পরিচিত । মংখালীর পুত্র ছিলেন বলেই তাঁর নাম মংখলীপুত্র । গোশালক নামের কারণ তিনি গোশালে জন্মগ্রহণ করেন ।
আঙ্ক