________________
প্রব্রজ্যা
মংখলী সম্ভবতঃ মংখ ছিলেন। চিত্র প্রদর্শন তার জীবিকা ছিল। তাই জীবিকার জন্য তাকে নানাস্থানে পরিভ্রমণ করতে হত। | এমনি পরিভ্রমণ করতে করতে তিনি একবার এসে উঠেছিলেন শরবন সন্নিবেশের এক ব্রাহ্মণের গােশালে। সেইখানে তাঁর স্ত্র ভদ্র। গােলকের জন্ম দেন ।
গােশালক শৈশবে একটু উদ্ধত প্রকৃতির ছিলেন। তারপর যখন একটু বড় হলেন তখন পিতামাতাকে পরিত্যাগ করে স্বতন্ত্রভাবে চিত্র প্রদর্শন করে জীবিকা নির্বাহ করতে লাগলেন। শেষে সাধু-সন্ন্যাসীদের সর্বত্র সমাদর দেখে শ্ৰমণ হয়ে ইতস্ততঃ প্ৰব্ৰজন করতে লাগলেন। | এমনি প্ৰব্ৰজন করতে করতেই তিনি এবার এসেছেন নালন্দায়।
গােশালক প্রথম হতেই বর্ধমানের দিকে আকৃষ্ট হলেন। যদিও বর্ধমানের এখন সেই কান্তি নেই, উপবাস ও তপশ্চর্যায় তার শরীর কৃশ হয়েছে তবু তার চারপাশে রয়েছে জ্যোতির এক পরিমণ্ডল। তাই প্রথম দর্শনেই চিত্ত শ্রদ্ধায় কেমন যেন নত হয়ে আসে।
তার ওপর গােশালক আরও দেখলেন তার সাধনা। দেখলেন বর্ধমান বর্ষাবাসের প্রথম মাসে কোনাে আহাই গ্রহণ করলেন না। রাত্রে ধ্যানে প্রায় বিনিদ্র রজনী যাপন করলেন। দংশমশক, শীতাতপের নির্যাতন সমভাবে সহ্য করলেন। দেখে গােশালক মুগ্ধ হয়ে গেলেন। তার মনে হল তিনি যেন এতদিন এমনি একজন আচার্যের সন্ধানে ছিলেন। তাই যেদিন মান্তের উপবাসের পর বর্ধমান আহার্য ভিক্ষা নিয়ে ফিরে এলেন সেদিন গােশালক তাঁর নিকটে গিয়ে তাকে তিনবার প্রদক্ষিণ ও প্রণাম করে বললেন, দেবা, আজ হতে আমি আপনার শিষ।
বর্ধমানের সেদিন মৌন ছিল। তাই তিনি তার কোনাে প্রত্যুত্তর দিলেন না। আর গােশালক সেই মৌনতাকে সম্মতির লক্ষণ বলে খয়ে নিয়ে তাঁর পরিচর্যায় নিয়ত হলেন। | গােশালক একটু উদ্ধত হলেও ছিলেন সরল প্রকৃতির। তাঁর মধ্যে ৰালকসুলভ চপলতা ছিল ও অকাণ কৌতূহল। তা ছাড়া তিনি