________________
খেমিলের প্রথম কথার মত তাই দ্বিতীয় কথা সত্যি হল। নৌকো কুলে এসে লাগল। নূতন জীবন লাভ করে যাত্রীরাও কূলে নেমে যে যার মত ঘরে চলে গেল।
বর্ধমান সকলের শেষে নামলেন। নেমে থাকে পথ নিলেন।
বর্ধমানের চলে যাবার পরেই নদী সৈকতে এল সামুদ্রিক শাস্ত্রী
পুষের দৃষ্টি মানের পায়ের ছাপের ওপর পড়ল। সে দেখল, সেখানে ধ্বজ ও অঙ্কুশের চিহ্ন।
পুষ মনে মনে বিচার করল যার পায়ে ধ্বজ ও অঙ্কুশের চিহ্ন সে কখনাে রাজচক্রবর্তী না হয়ে যায় না।
কিন্তু আবার তখনি ভাবল, যে রাজচক্রবর্তী সে খালি পায়ে নদী সৈকত দিয়ে যাবে কেন?
তখন তার হঠাৎ মনে হল হয়ত কোনাে কারণে তার কোনাে বিপদ হয়ে থাকবে।
পুষ তখন বিচার করতে লাগল—তার জীবনে এ যেন এক মহৎ সুযােগ এসেছে। যদি তাঁকে তাঁর বিপদে সাহায্য করবার কোনাে সময় থেকে থাকে তবে এই। মহৎ ব্যক্তি অন্যের কৃত উপকার কখনাে বিস্মৃত হন না। কে জানে এ হতে তার ভাগ্যের দরজা খুলে ৰাৰে কিনা। | পুষ তখন সেই পায়ের ছাপ অনুসরণ করে সেখান হতে থাক সন্নিবেশে এসে উপস্থিত হল।
শুধু পায়ের ছাপই নয়, দেখল বর্ধমানের সমস্ত গায়ে রাজচক্রবর্তীদের লক্ষণ।
কিন্তু পু ৰা দেখৰে ৰলে এসেছিল তা দেখতে পেল না। দেখল এক নগ্নদেহ এমন কায়ােৎসর্গ ধ্যানে এক গাছের তলায় দাড়িয়ে রয়েছে। এতে সে কিভাবে সাহায্য করতে পারে।
পুর নৈয়া সীমা নেই। নৈলা গ্যের ই নয়,