________________
বর্ধমান মহাবীর দৃষ্টি বিশাখনন্দীর ওপর পতিত হল। তিনি একমাস অনাহারে ছিলেন তাই স্বভাবতই দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। তার ওপর নৰতা গাভীকে পাশ কাটাতে গিয়েই তিনি তার শৃঙ্গপ্রহারে মাটিতে পড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এর অর্থ এ নয় যে তিনি নিৰীৰ হয়ে গেছেন। বিশভূতি তখন সেই গাভীকে শৃঙ্গ দিয়ে ধরে মাথার ওপর চকেন মত বােয়াতে ঘােরাতে বিশাখনন্দীকে ডাক দিয়ে বললেন, বিশাখনন্দী, দুর্বল সিংহের বলও কখনাে শৃগাল লম্বন করতে পারে না।
বিশ্বভূতি সেখান হতে প্রতিনিবৃত্ত হলেন। মনে মনে বললেন, এই দুরাত্মা এখনাে আমার প্রতি ক্রোধপরায়ণ। সংযম ও ব্রহ্মচর্ষে আমি যদি কোনাে শ্রেয় লাভ করে থাকি তবে আমি যেন পরজন্মে অমিত বলের অধিকারী হই।
বিশ্বভূতি এই সঙ্কল্পের জন্য কখনাে পশ্চাত্তাপ করেন নি। তাই মৃত্যুর পর পােতনপুরে রাজা প্রজাপতির পুত্র ত্রিপৃষ্ঠ ৰাসুদেব হয়ে জন্মগ্রহণ করলেন।
বিশাখনন্দীও তার কু প্রবৃত্তি ও পরিহাসের জন্য পরজন্মে সিংহ হয়ে জন্মগ্রহণ করলেন। | পূর্ব শত্রুতার অন্য ত্রিপৃষ্ঠ এই সিংহকে নিরস্ত্র অবস্থায় একক দ্ব যুদ্ধে নিহত করনে।
বিশাখনন্দী সিংহদেহ পরিত্যাগ করবার পর সুদংষ্ট্র নামে বায়ুদেবতা হয়ে জন্মগ্রহণ করলেন।
নৌকো যখন মাঝগঙ্গায় এল তখন সুদংষ্ট্রের দৃষ্টি বর্ধমানের ওপর পতিত হল। | ত্রিপৃষ্ঠ জন্মে বর্ধমান তাকে হত্যা করেছিলেন সে কথা মনে হওয়ায় প্রতিশােধ নেয় বাসনায় তিনি নদীতে ঝড় তুলে দিলেন। | কিন্তু সেই ঝড় বর্ধমানকে একটুও বিচলিত করতে পায় না। ৰায়ু-দেৰ সুং গুৰ মানের মেরুর মত ধৈর্যের কাছে পান্ত হয়ে শান্ত হয়ে গেল।