________________
এবা
বিশ্বতি তখন বুঝতে পারলেন, এই বিদ্রোহ, এই যুজোম এ সমস্তই তাকে পুষ্পকরণ্ডক উদ্যান হতে বার করবার জন্য যাতে বিশনন্দী সেই উদ্যানে প্রবেশ করতে পারে। ক্রোধে তখন তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেন ও কপিখ গাছে মুষ্ট্যাঘাত করে প্রহরীদের বলে উঠলেন, কপি ফলে যেমন গাছের তলার মাটি আবৃত হয়ে গেছে তেমনি আমি তােমাদের মুণ্ডে এই মাটি আবৃত করে দিতাম কিন্তু জ্যেষ্ঠতাতের গৌরব করি বলে তােমরা রক্ষা পেয়ে গেলে।
এই ঘটনায় কুমার বিশ্বভূতিয় সংসারের প্রতি কেমন যেন বিতৃষ্ণা এসে গেল। তিনি তখন সংসার পরিত্যাগ করে স্থৰি আৰ্যসংভূতের কাছে শ্ৰমণ দীক্ষা গ্রহণ করলেন।
রাজা বিশ্বনী কুমারের সংসার পরিত্যাগে অনুতপ্ত হয়ে তার ক্ষমা যাচনা করলেন ও পরে নিজেও শ্রমণ দীক্ষা গ্রহণ করলেন।
তারপর অনেককাল পরের কথা। কুমার বিশনন্দী মথুরায় এসেছেন সেখানকার রাজকন্যাকে বিবাহ করবার জন্য।
সংযােগৰশতই মুন বিশ্বভূতিও তখন মথুরাতেই অবস্থান করছিলেন। তিনি সেদিন একমাসের উপবাসের পর ভিক্ষা নিয়ে উপায়ে ফিরছিলেন সেই পথ দিয়ে যে পথের ধারে বিশাখনন্দীর স্কন্ধাবার পড়েছিল।
বিশাখনন্দী কিন্তু বিশ্বতিকে প্রথমে চিনতে পারেননি কারণ তাঁর শরীর অনেক কৃশ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তার এক অনুচর তাকে দেখতে পেয়ে বলে উঠল, কুমার, দেখুন দেখুন, ওই বিশ্বভূতি।
বিশ্বভূতির প্রতি বিশাখনন্দীর মনে একটা জাতক্রোধ ছিল। তাই বিশ্বভূতির নাম কানে যেতেই সনােবে যেই ওদিকে তাকাতে ৰাৰেন তেমনি দেখতে পেলেন এক নৰপ্ৰসুতা গাভী শৃঙ্গহারে বিশ্বভূতিকে মাটিতে ফেলে দিয়েছে। সেই দৃশ্য দেখে তিনি উচ্চ করে সেখান হতেই বলে উঠলেন, বিশ্বভূতি, কপিখগাছে মুষ্ট্যাঘাত করে কপিখ ফল ঝরার মত শক্তি এখন তােমায় কোথায় গেল?
সেই কটুক্তি বিশ্বতির কানে গেল। তিনি ফিরে চাইতেই তাঁর