________________
সে অনেককাল আগের কথা। বর্ধমানের ইহজীবনের নয় বই এন্ম পূর্বের কথা। সে জন্মে বর্ধমান রাজগৃহের মাজ। বিশ্বনন্দীয় ভাই বিশাখভূতির পুত্র বিশ্বভূতি রূপে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।
| বিশ্বভূতি যখন যৌবনপ্রাপ্ত হলেন তখন রাজগৃহের বাইরে পুষ্পগুক নামে যে উদ্যান ছিল সেই উদ্যানে অপুৰিকাদের নিয়ে প্রায়ই বিহার করতে আসতেন। কিন্তু বিশ্বতিয় সেই ঐশ্বর্য, সেই মুখভোগ রাণী মদনলেখার দাদীদের চক্ষুশূল হল। তাই তারা একদিন মহাদেবীর কাছে গিয়ে নিবেদন করল, দেবী, যদিও রাজ্যের তাৰী উত্তরাধিকারী কুমার বিশনন্দী তবু কুমার বিশ্বভূতি পুষ্পকরণ্ডক বনের যে সুখ ও বৈভৰ ভােগ করছেন তার তুলনায় আপনার পুত্রের সুখ ও বৈভব কিছুই নয়। আপনার পুত্র নামেই যুবরাহ, ৰান্তৰে বিশ্বভূতিই যৌবরাজত্ব ভােগ করছেন।
দাসীদের কথা মদনলেখার মনে নিল। তিনি মনে মনে স্থির করলেন বিশ্বভূতিকে যেমন করে হােক পুষ্পকরণ্ডক উদ্যান হতে ৰায় করতে হবে ও সেই উদ্যানে বিশাখনন্দীর প্রবেশের উপায় করে দিতে হবে।
রাণী মদনলেখা সেকথা রাজা বিশ্বনন্দীকে বললেন। কিন্তু আজ সেকথা স্বীকার করলেন না। বললেন, আমাদের এই কুলনিয়ম। একবার যদি কেউ পুষ্পকণ্ডক উদ্যানে প্রবেশ করে তৰে ৰতক্ষণ না সে নিজে হতে বার হয়ে আসে ততক্ষণ তাকে বাইরে আসতে বলা যাবে না বা অন্তে সেই বনে প্রবেশ করতে পারবে না। শীতে কুমার বিশ্বভূতি যখন সেই উদ্যানে প্রবেশ করেছে তখন কুমার বিশাখনন্দীকে অপেক্ষা করতে হবে যতক্ষণ না সে নিজে উদ্যান হতে বার হয়ে আসে।
| কিন্তু মদনলেখা এতে সন্তুষ্ট হলেন না। বিশনন্দীর ওপর চাপ দেয় । তিনি কোপগৃহে প্রবেশ করলেন।
বিশনন্দী উভয় সঙ্কটে পড়ে মন্ত্রীদের শরণাপন্ন হলেন। অমীমা সমত দিক বিবেচনা করে বিশনন্দীকে এই উপদেশ দিল।