________________
১৮।
বর্ধমান মহাবীর | সেই চীৎকার শুনে খেমিল বলে উঠল, এই চীৎকারে নৌকো-ডুৰি ও এতগুলি প্রাণীর জীবনহানির আশঙ্কা সূচিত হচ্ছে। মাৰি, নৌকো শীগগির কুলে নাও।
কিন্তু মাঝি নৌকো কুলে নিল না। এৰল (স্রাতে নৌকো ততক্ষণে কুল হতে অনেক দূরে এসে পড়েছে।
তবে উপায় ? উপায় একমাত্র ভগবান।। হঠাৎ খেমিলের চোখ গিয়ে পড়ল বর্ধমানের ওপর। যাত্রীরা উলুকের ডাক কেউ শুনে ছিল, কেউ শােনে নি। কিন্তু খেমিলের কথা সকলেই শুনেছিল। তাই সেই নিয়ে তার মাঝিকে সঙ্গে বচসা করতে শুরু করল। কিন্তু খেমিল এবার তাদের সবাইকে থামিয়ে দিল। তারপর বর্ধমানের দিকে চেয়ে বলল, উনি যখন সঙ্গে রয়েছেন তখন আমাদের কিছুই আশঙ্কা নেই। ঝড় উঠৰে নিশ্চয়ই তবে নৌকো-ডুবি হবে না। | খেমিলের কথাই সত্যি হল। যে একখণ্ড মেঘ আকাশের পশ্চিম প্রান্তে পড়ে ছিল তা দেখতে দেখতে সমস্ত আকাশ ছেয়ে ফেলল। সো-সেঁ কমে ঝড় উঠল। নদীর জল কালাে হল। তার পরমুহূর্তেই প্রলয় ঘটে গেল। ঝড়ের সে কি বেগ আর জলের গর্জন। মাঝি নৌকো সামাল দিতে পারল না। প্রবল হাওয়ায়, জলের বেগে তা কুটোর মত ভেসে গেল।
নৌকোয় আবার কোলাহল উঠল। কেউ খেমিলের দোষ দিল ত কেউ মাঝিদের। প্রাণের আশঙ্কায় সকলে কেমন যেন অধৈৰ হয়ে পড়েছে।
আর বর্ধমান?
বর্ধমান সেই কোলাহল ও চীৎকারের মধ্যে এক কোণে যেন বসেছিলেন তেমনি বসে রইলেন। কেন কোণা কিছু হয় নি। ঝড় ওঠে নি। নদী এমত্ত হয় নি, জীবনের আশা দেখা দেয় নি। তন্ময় দত।