________________
প্রব্রজ্যা তখনাে না। সেই মিষ্টান্নের গন্ধে, ঘী ও মধুর সৌরভে দলে দলে পিপড়ে এল, তার দেহকে খুটে খুটে খেতে লাগল, তখন না। দেই অসহ বেদনা সহ্য করে নিজের পূর্বসঞ্চিত কর্ম ক্ষয় করে এভাবে দিব্য ভাবনায় সে দিব্যগতি লাভ করল।
আর বর্ধমান। তার দেহান্ত পর্যন্ত সেইখানে অপেক্ষা করে উত্তর ৰচালার পথ নিলেন।
উত্তর বাচালা হতে বর্ধমান এলেন সেয়বিয়া অর্থাৎ খেতাম্বী। কেয়ের রাজধানী।
খেতাষীতে তখন রাজত্ব করেন রাজা প্রদেশী।
প্রদেশী প্রথম জীবনে নাস্তিক ছিলেন। পরে ভগবান পার্শ্বনাথের পশাগত শিষ্য কেশীকুমারের সম্পর্কে এসে আস্তিক বা আত্মায় বিশ্বাসী হন।
তাই প্রদেশী যখন বর্ধমানে আসার খবর পেলেন তখন সপরিবারে এলেন তার বন্দনা করতে।
ফলে প্রদেশীর অধীনস্থ রাজ-পুরুষেরাও তঁার ওখানে যাতায়াত শুরু করলেন। বর্ধমান তাই সেখানে অবস্থান করতে ইচ্ছে করলেন না। সেখান হতে চলে গেলেন সুরভিপুর, সুরভিপুর হতে রাজগৃহ।
রাজগৃহের সঙ্গে কারু পরিচয় করিয়ে দিতে হবে না। মগধের ৰাজধানী রাজগৃহ। কিন্তু সুরভিপুর হতে রাজগৃহে যেতে হলে গঙ্গা নদী অতিক্রম করতে হয়। বর্ধমান তাই খেয়া ঘাটে এলেন। তারপর সিদ্ধদত্তের নৌকায় উঠে বসলেন।
নৌকায় আরও অনেক যাত্রী ছিল। তার মধ্যে ছিল নৈমিত্তিক খেমিল। | মাবিয়া যখন নৌকো খুলে দিয়েছে, নৌকো যখন ধীরে ধীরে চলতে শুরু করেছে, তখন ডান দিক হতে সহসা চীৎকার দিয়ে উঠল